ফারুক আহমাদ আরিফ, এনায়েতুল্লাহ কৌশিক, মেসবাউল হাসান, রায়হান ওয়াজেদ চৌধুরী, মারুফ আহমেদ, আরিফুল ইসলাম, খাইরুল ইসলাম বাশার, আসাদুল্লা লায়ন।
দীর্ঘ ২৯ বছর যাবত বাংলাদেশে কোন ছাত্র সংসদ নেই। ২০১৯ সালের মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে এটিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্র সংগঠন তাদের দৌড়ঝাপ শুরু করে দিয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে ছাত্র সংসদ কি রাজনৈতিক দলগুলোর আখড়া হবে, না শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, তথা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হবে? নানা প্রশ্ন ঢালপালা ছড়াচ্ছে। ছাত্র সংসদ যদি রাজনৈতিক ডামাঢোলের জন্যে হয় তবে প্রতিষ্ঠানে সবসময় হাঙ্গামা, মারপিট লেগেই থাকবে। কিন্তু যদি শিক্ষার্থীদের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব নিতে চায় তবে সেটিই হবে প্রকৃত ছাত্র সংসদ। আমরা সেটিই কামনা করি। ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠার জন্যে ২০১৪ সাল থেকে আমরা দাবি জানিয়ে আসছি। অন্যরা আরো দীর্ঘদিন যাবত দাবি তুলছেন।
ভারতবর্ষে পূর্তগিজ থেকে শুরু করে ব্রিটিশ শোষণের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অধিকার নিয়ে প্রথম কাজ শুরু হয় ১৮৩১ সালে কলকাতায়। তারই ধারাবাহিকতায় ১৮৩৮ সালের ১২ মার্চ উপমহাদেশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ‘সাধারণ জ্ঞানাপোর্জিকা সভা’ পত্রিকা দিয়েই ছাত্রদের অধিকার আদায়ের প্রথম কাজ শুরু হয়। ক্রমে ক্রমে সেটি ডালপালা বিস্তার করে ফুলে-ফলে সুশোভিত হয়ে উঠে। ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর বঙ্গভঙ্গ করে ঢাকাকে রাজধানী করে নতুন ‘পূর্ব বাংলা’ ও ‘আসাম’ প্রদেশ সৃষ্টির ফলে পূর্ব বাংলায় শিক্ষায় উন্নতি ঘটতে থাকে। কিন্তু ১৯১১ সালের ১ নভেম্বর দিল্লির দরবারের ঘোষণায় ১২ ডিসেম্বর বঙ্গভঙ্গ রদ করতে বাধ্য করে ব্রিটিশদের। সেই বঙ্গভঙ্গ রদের উসূল হিসেবে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু। একটি দেশের বিনিময়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয়! ১৯২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে (Dhaka University Central Students Union) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক কার্যকলাপের উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়। তখন প্রতিটি ছাত্রের জন্যে ১ টাকা সদস্য ফি ছিল। এখানে ১৯২৪-২৫ সালে ছাত্র সংসদের দাবি উঠলে সেই বছরই প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) যোগেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত মনোনিত হন। ১৯৫৩ সালে ভোটের মাধ্যমে ঢাকসুর প্রথম ভিপি নির্বাচিত হন এসএ বারী এবং জিএস হন জুলমত আলী খান। ১৯৪৭ সালের পাকিস্তান-ভারত তথা দেশভাগ, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ এর শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, স্বাধীকার আদায়ে ১৯৬৬ এর ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণ-অভুত্থান, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ডাকসুতে ১৯২৪ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত ৬৬ বছরে ৩৬টি নির্বাচন হয়েছে। ১৯৯০ সালের ৬ জুন সবশেষ নির্বাচন হয়। এরপর দীর্ঘ ২৮ বছর যাবত কোন নির্বাচন হচ্ছে না।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৫৩ সালে যাত্রা শুরু করে ১৯৫৭ সালে প্রথম ছাত্র সংসদে মনিরুজ্জামান মিয়া প্রথম ভিপি নির্বাচিত হন। সেখানে ১৯৫৭-১৯৮৯ পর্যন্ত ৩২ বছরে ১৪ বার নির্বাচন হয়েছে। ১৯৫৮-৬২, ১৯৭৫-৮০, ১৯৮১-৮৮ পর্যন্ত নির্বাচন বন্ধ ছিল। সবশেষ ১৯৮৯ সালের পর আর নির্বাচন হয়নি। ১৯৯০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ২৯ বছর কোন ছাত্র সংসদ নির্বাচন নেই, হচ্ছে না।
১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু করে ১৯৭০ সালে প্রথম ছাত্র সংসদে আব্দুর রব ভিপি ও মো. ইব্রাহিম খান জিএস নির্বাচিত হন। ১৯৭০-১৯৯০ পর্যন্ত ২১ বছরে ৬ বার নির্বাচন হয়েছে। সবমিলে ডাকসুতে ৩৬ জন, রাকসুতে ১৪ জন ও চাকসুতে ৬ জন মিলে ৫৬ জন ব্যক্তি ভিপি ও ৫৬ জন জিএস নির্বাচিত হয়েছিলেন। অন্যান্য পদেও অনেকে নির্বাচিত হন।
১৯৯২ থেকে বাংলাদেশে সরকারির পাশাপাশি সৃষ্টি হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের। বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০১টি। দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলে ১৩৮টি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি-বেসরকারি-সেনাবাহিনী মিলে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ আছে ৯৪টি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স ও মাস্টার্স কলেজ আছে ২২০০টি। সবমিলে ২৪৪২টি প্রতিষ্ঠানে এইচএসসি পর পড়াশোনা করানো হয়। এসব প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ বন্ধ রেখে শুধুমাত্র দলীয়ভিত্তিতে নেতৃত্ব তৈরি করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরোধের মাত্রাটি চরম আকার ধারণ করছে। এক ছাত্র সংগঠন অন্যটিকে দেখতে পারে না। সহ্য করতে পারে না। দেশ ও জাতির কল্যাণে তারা কোন কাজ না করে শুধুমাত্র দলীয়ভিত্তিতে কাজ করছে। শিক্ষার্থীদের প্রকৃত সমস্যা সমাধানের চেয়ে নিজেদের তল্পা-তল্পি গোছাচ্ছে। একটি দেশকে ধ্বংস করার জন্যে এর চেয়ে বড় হাতিয়ার আর কি হতে পারে? এখন প্রয়োজন প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, কলেজ, হাই স্কুল, প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক, সিন্ডিকেট সদস্য, রাজনৈতিক দল, বোর্ড অব ট্রাস্টিসহ যাবতীয় শক্তির হস্তক্ষেপমুক্ত শিক্ষার্থীদের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি তথা ছাত্র সংসদ।
নির্বাচন পদ্ধতি
এক: ব্যাচ/ক্লাস প্রতিনিধি; নির্বাচনের পদ্ধতিটি হবে প্রতিটি (ক্লাস) ব্যাচ থেকে সেই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা প্ররোক্ষ ভোটের মাধ্যমে একজন ব্যাচ/ক্লাস প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। ব্যাচ প্রতিনিধি সেই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে ক্লাসের সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করবেন। এই নির্বাচনটি হবে একদিন।
দুই: বিভাগীয় পরিষদ; সবগুলো ব্যাচের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে বিভাগীয় পরিষদ গঠিত হবে। বিভাগীয় পরিষদের সদস্যদের পরোক্ষ ভোটে একজন বিভাগীয় পরিষদ প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। এই নির্বাচনটি ক্লাস/ব্যাচের নির্বাচনের ৩/৫ দিন পর অনুষ্ঠিত হবে। একদিন বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সামনে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তাদের পরিকল্পনা পেশ করা হবে। অন্যদিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিন: অনুষদীয় পরিষদ; বিভাগীয় প্রতিনিধিদের ভোটে প্রতিটি অনুষদের জন্যে এক/দুইজন অনুষদীয় প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। (যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪টি বিভাগ ও ১২টি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ১৩টি অনুষদের জন্যে নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন।) বিভাগীয় পরিষদের ৭ দিন পর অনুষদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
চার: সিনেট প্রতিনিধি; অনুষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা পরোক্ষ ভোটের মাধ্যমে সিনেটের জন্যে এক/দুইজন সিনেট প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। সিনেট প্রতিনিধিরা ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশ নিবে। অনুষদীয় নির্বাচনের ৭ দিন পর সিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
পাঁচ: কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ; সিনেটে ১৩/২৬ জন বা অনুষদ অনুযায়ী নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ১০/১২টি পদে সরাসরি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ২ জন ভিপি পদে, ২ জন জিএস ও অন্যান্য পদেও দুইজন করে দাঁড়াবেন তাদেরকে সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থী ভোট দিবে। সর্বাধিক ভোট যিনি পাবেন তিনি নির্বাচিত ভিপি ও জিএসসহ অন্যান্য পদে নির্বাচিত হবেন। এরাই ছাত্রসংসদের দায়িত্ব পালন করবেন। সিনেট নির্বাচনের এক মাস পর কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ছয়: জাতীয় ভিপি পরিষদ; সারাদেশে নির্বাচিত ভিপিদের নিয়ে একটি জাতীয় ভিপি পরিষদ গঠিত হবে। এই নির্বাচনটি ভিপি নির্বানের এক মাস পর অনুষ্ঠিত হবে। এটি ৮টি বিভাগের ভিত্তিতে হতে পারে। প্রতিটি বিভাগ থেকে ৩ জন করে নির্বাচিত হয়ে জাতীয় ভিপি পরিষদের সদস্য হবেন। তবে প্রতিটি ভিপি বিভাগীয় পরিষদের সদস্য থাকবেন।
সাত: মনিটরিং সেল; জাতীয় ভিপি পরিষদ ও নিন্মুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে মনিটরিং সেল গঠিত হবে। শিক্ষামন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেলে ১. জাতীয় ভিপি পরিষদের সভাপতি, ২. সাধারণ সম্পাদক, ৩. কোষাদক্ষ, ৪. শিক্ষামন্ত্রী ৫. প্রাথমিক শিক্ষামন্ত্রী, ৬. শিক্ষা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, ৭. শিক্ষাসচিব, ৮. প্রাথমিক শিক্ষাসচিব, ৯. ইউজিসি চেয়ারম্যান এবং ১০. শিক্ষাবিদ ১১. নারী শিক্ষাবিদসহ মোট ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি থাকবে। তারা শিক্ষা কার্যক্রমের সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন তবে এখানে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি ও খাতা মূল্যায়ন কমিটিতে থাকবেন না।
ছাত্র সংসদের দায়িত্ব-কর্তব্য
ছাত্র সংসদের কাজ হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের যাবতীয় অধিকার আদায় ও উদ্ভাবনীতে শ্রম বিনিয়োগ করা। কোন হল বা রাজনৈতিক দলের হয়ে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তবে মনে মনে নিজ নিজ পছন্দের রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করতেই পারেন সেটি ছাত্র সংসদে নয় বরং ব্যক্তিগতভাবে বিবেচিত হবে।
বর্তমান হল ছাত্র সংসদ নির্বাচন পদ্ধতি: বর্তমান বলতে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে সেখানে প্রতিটি হলে ছাত্র সংগঠন নিজ নিজ দল থেকে ছাত্র সংসদে নির্বাচনের জন্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেন। যেখানে যাদের সমর্থন বা শক্তি বেশি সেখানে তারা বিজয়ী হতেন বা জয় ছিনিয়ে নিতেন। হলে থাকতে হলে বড় ভাইদের কথা বা নির্দেশ নিজের ক্ষতি হলেও মানতে বাধ্য করা হয়। যেমনটা এখন গণরুমে যারা থাকে তাদের অবস্থা দেখলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
বর্তমান কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন পদ্ধতি: প্রতিটি হল থেকে ছাত্র সংগঠনগুলো নিজ নিজ দল থেকে ছাত্র সংসদে নির্বাচনের জন্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে থাকেন। এখানে যাদের সমর্থন বা শক্তি বেশি সেখানে তারা বিজয়ী হতেন বা জয় ছিনিয়ে নিতেন। তা ছাড়া গোয়েন্দা বিভাগ থেকে কাউকে কাউকে ভিপি বা জিএস নির্বাচিত করার অগ্রিম নির্দেশও থাকতো।
প্রীতিপূর্ণ প্রতিযোগিতার ‘ছাত্র সংসদ মডেল’ এ ‘হল ছাত্র সংসদ’ নির্বাচনকে নিরুৎসাহিত করে সেখানে শ্রেণিকক্ষে নির্বাচনকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। কারণ জাতির ভবিষ্যৎ তৈরি হয় শ্রেণিকক্ষে, হলে নয়। আর হলে সবসময়ই ক্ষমতার একটি দ্বন্দ্ব চলে আসছে আবহমানকাল থেকে। অন্যদিকে শ্রেণিকক্ষে প্রতিযোগিতা হয় পারস্পারিক জ্ঞান, প্রজ্ঞা, সহযোগিতা, কর্মদক্ষতা ও সততার।
নির্বাচন পূর্ববর্তী কার্যক্রম
(১) নির্বাচনের পূর্বে পূর্ণাঙ্গ একটি ভোটার তালিকা প্রস্তুত করবে প্রতিটি ব্যাচ।
(২) নির্বাচনে প্রতিযোগিতাকারীদের ৭০ শতাংশ ক্লাসে উপস্থিতি নিশ্চি করতে হবে।
(৩) দেশদ্রোহী কোন ধরনের মামলা বা অপরাধে জড়িত থাকলে সে প্রতিযোগিতা করতে পারবে না।
(৪) পুরুষদের ক্ষেত্রে নারী ঘটিত ও নারীদের ক্ষেত্রে পুরুষ ঘটিত কোন কেলেঙ্কারীতে জড়িতরা প্রতিযোগিতা করতে পারবে না।
(৫) কোন প্রকার মাদকের সাথে জড়িতরা প্রতিযোগিতা করতে পারবে না।
(৬) ছাত্র সংসদে অনার্সে দ্বিতীয় বর্ষ থেকে ৩ বর্ষ এবং মাস্টার্সের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করতে পারবে। তবে যে প্রতিষ্ঠানে সেইবিষয়ে মাস্টার্স আছে সেখানে অনার্স ফাইনাল এয়ারের শিক্ষার্থীরা নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করতে পারবে।
(৭) নির্বাচনটি জানুয়ারি হতে ডিসেম্বর হবে। নবনির্বাচিতরা ডিসেম্বরে নির্বাচিত হবেন দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে জানুয়ারিতে।
(৮) ছাত্র সংসদ ও জাতীয় ভিপি পরিষদ স্বায়ত্ত্বশাসিত থাকবে। তারা নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানে যেকোন কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারবে। পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীরা এটি বাস্তবায়ন করবে।
ইতিপূর্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে হতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তাতে করে সকলের মাঝে বৈরিতা তৈরি হতো, আমরা চাই নির্বাচনে হবে প্রীতিপূর্ণ প্রতিযোগিতা, পারস্পারিক হৃদ্যতা।
পদগুলো হবে
ভাইস প্রেসিডেন্ট, ২. জেনারেল সেক্রেটারি, ৩. অর্থ সম্পাদক, ৪. সাংগঠনিক সম্পাদক, ৫. ক্রীড়া সম্পাদক, ৬. সাংস্কৃতিক সম্পাদক, ৭. আবাসন সম্পাদক, ৮. নারী সম্পাদক, ৯. গবেষণা/উদ্ভাবন সম্পাদক, ১০. সমাজকল্যাণ সম্পাদক, ১১. আন্তর্জাতিক সম্পাদক, ১২. প্রচার সম্পাদক।
নির্বাচনী ব্যয়: সব মিলে নির্বাচনী ব্যয় দাঁড়াবে ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্যে প্রায় ১০ লাখ টাকা। মোট সময় প্রয়োজন হবে এক মাস ২০ দিন।
উল্লেখ্য, লেখকবৃন্দ মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস (এমডব্লিউইআর)র সাথে সম্পৃক্ত।
বি. দ্র. ছাত্র সংসদ মডেলটি নিয়ে সকলের মতামত প্রত্যাশা করছি। [email protected] এই মেইলে ১০ নভেম্বরের মধ্যে মতামত পাঠানোর অনুরোধ করা যাচ্ছে।