Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রধানমন্ত্রীকে যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন ড. কামাল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:১৫ PM
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:১৫ PM

bdmorning Image Preview


প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনাকে নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা এবং নির্বাচন কমিশন শক্তিশালীকরণে সংবিধানসম্মত বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছিলেন জোটের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতীয় ঐক্য ও জাতীয় মেইলবন্ধনে (রিকনসিলিয়েশন) ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানিয়েছিলেন ড. কামাল হোসেন।

প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বলেন, দেশ পরিচালনার যে ঐতিহাসিক সুযোগ আপনি পেয়েছেন, সেখানে জাতীয় ঐক্য এবং রিকনসিলিয়েশন বা মেইলবন্ধনে কতটা কার্যকর ভূমিকা আপনি রেখে যেতে পারছেন, আগামী দিনের মানুষ যুগ যুগ ধরে সেটিই মনে রাখবে।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের ২২ সদস্য ও ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের ১৯ সদস্য অংশ নেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার কিছু পর এ সংলাপ শুরু হয়ে রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে শেষ হয়। সাড়ে ৩ ঘণ্টার সংলাপে খোলামেলাভাবে অনেক বিষয় আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্ট ও আওয়ামী লীগ নেতারা। তবে বহুল প্রত্যাশিত সংলাপে সন্তুষ্ট নয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে গণভবনে প্রবেশ করেন ১৪ দলের নেতারা। এর ২০ মিনিট পর প্রবেশ করেন ড. কামাল হোসেনসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

এদিকে সংলাপে অংশ নিতে বিকেল ৪টায় ড. কামাল হোসেনের বাসায় বৈঠক করেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। বৈঠকে সংলাপের এজেন্ডা ঠিক করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে চিঠি পেয়ে সংলাপে যেতে ১৬ নেতাকে নির্বাচন করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আর সংলাপ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে আজ আরো পাঁচজনকে যুক্ত করে তারা। ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে দেওয়া এক চিঠিতে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

সিদ্ধান্ত হয়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিকুল্লাহও যোগ দেবেন সংলাপে। এঁদের মধ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ছাড়া অন্যরা সংলাপে যোগ দেন।

সংলাপে ১৪ দলের পক্ষে যাঁরা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংলাপে যোগ দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, মো. আবদুর রাজ্জাক, কাজী জাফর উল্যাহ, আবদুল মতিন খসরু ও রমেশ চন্দ্র সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, আবদুর রহমান ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও জাসদের একাংশের সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদল।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে যাঁরা

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সংলাপে অংশ নিয়েছেন দলের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মোহসীন মন্টু, মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও আ ও ম শফিক উল্লাহ এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস ও আবদুল মঈন খান, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, সহসভাপতি তানিয়া রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না ও এস এম আকরাম, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আ ব ম মোস্তফা আমিন, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

Bootstrap Image Preview