Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শ্বাসরোধে হত্যার পর গলায় শাড়ি পেচিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয় গৃহবধূকে

রফিকুল আলম, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০২ নভেম্বর ২০১৮, ০৩:৫৭ PM
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৮, ০৩:৫৭ PM

bdmorning Image Preview


বগুড়ার ধুনট উপজেলায় স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে সাদিয়া ওরফে সাহেদা খাতুন (১৭) নামে এক নববধূকে শ্বাসরোধে হত্যার পর গলায় শাড়ি কাপড় পেচিয়ে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে সাদিয়ার মৃতদেহ তার স্বামীর ঘর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত সাদিয়া উপজেলার কাশিয়াহাটা গ্রামের আমিনুল ইসলামের মেয়ে।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শেহলিয়াবাড়ি গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মোতালেবের সাথে প্রায় এক বছর আগে সাদিয়ার প্রেমের সম্পর্ক হয়। কিন্ত সাদিয়াকে বিয়ে করতে রাজী হয়নি মোতলেব। এ কারণে প্রায় সাত মাস আগে সাদিয়া বিয়ের দাবিতে প্রেমিক মোতালেবের বাড়িতে ওঠে। তখন বাধ্য হয়ে সাদিয়াকে বিয়ে করে মোতালেব। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই নববধূকে মেনে নিতে পারছিল না মোতালেব ও তার মা-বাবা। সাদিয়াকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করতে নানা ভাবে নির্যাতন করত।

অন্যান্য দিনের ন্যায় বুধবার রাতে নিজেদের ঘরে স্বামী-স্ত্রী ঘুমিয়েছিল। এ অবস্থায় ভোর ৪টার দিকে ঘরের ভেতর তীরের সাথে সাদিয়ার ঝুলন্ত লাশ দেখে মোতালেব। তাৎক্ষনিক ভাবে মোতালেব তার মা বাবাকে ডেকে নিয়ে ঘটনাটি দেখায়। তবে ঘটনার পর থেকে আব্দুল মোতালেব ও তার মা বাবা পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় নিহত সাদিয়ার বাবা আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মোতালেব ও তার মা ছালেকা বেগমের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।

এ বিষয়ে আমিনুল ইসলাম বলেন, বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েকে মেনে নিতে পারছিল না তার স্বামী ও শাশুড়ি। এছাড়া মাঝে মধ্যে আমার নিকট থেকে যৌতুকের টাকা চেয়েছে মোতালেব। কিন্ত যৌতুকের টাকা দেওয়ার আর্থিক সামর্থ্য আমার নেই। এ কারণে মোতালেব ও তার মা ছালেকা আমার মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মৃতদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে।

নিহতের স্বামী আব্দুল মোতালেব বলেন, বুধবার সন্ধ্যার দিকে পার্শ্ববতী বরইতলি গ্রামে নানী শাশুড়ি সোনাভান বেগম মারা গেছে। তাই রাতেই নানীর বাড়িতে যেতে চেয়েছিল সাদিয়া। কিন্ত নানীকে দেখার জন্য যেতে না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সাদিয়াকে নির্যাতন কিংবা হত্যা করা হয়নি। তারপরও আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা আরজি দিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছে। 

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, সাদিয়ার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া নিহত সাদিয়ার বাবার অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব না। 

Bootstrap Image Preview