Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

গণভবনে আওয়ামী লীগের পুনর্মিলনী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর ২০১৮, ০৭:০৪ PM
আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৮, ০৭:০৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ড. কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বসার বিষয়ে মতামত জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত দেন প্রধানমন্ত্রী। এই সিদ্ধান্তের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১৬ সদস্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যাচ্ছেন গণভবনে। এই ১৬ সদস্যের মধ্যে ৮ জনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাদের নেতৃত্ব দেবেন ড. কামাল হোসেন।

এ ব্যাপারে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সাংবাদিক প্রভাষ আমিন লিখেছেন, আজ গণভবনে আওয়ামী লীগের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন, মোস্তফা মহসিন মন্টু, মাহমুদুর রহমান মান্না, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, আ স ম আব্দুর রব সবাই সাবেক আওয়ামী লীগার। আরেকটু পিছিয়ে গেলে ব্যারিস্টার মওদুদও সাবেক আওয়ামী লীগারই।

ড. কামাল হোসেন বাংলাদেশের সংবিধানের প্রণেতা হিসেবেই অধিক পরিচিত। ১৯৭০ সালের পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তান থেকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৭২ সালে আইনমন্ত্রী এবং ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে গণফোরাম নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্যারিস্টার মওদুদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ১৯৭১-এ ইয়াহিয়া খান আহূত গোলটেবিল বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠকের ভূমিকা ছাড়াও ব্যারিস্টার মওদুদকে পোস্টমাস্টার জেনারেল নিয়োগ করে মুজিবনগর সরকার। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

মোস্তফা মহসীন মন্টু ১৯৯৩ সালে যুবলীগের চেয়ারম্যান ছিলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু। বাদল হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি। এরপর তিনি যোগদেন গণফোরামে।

আসম রব বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক। ১৯৭১ সালে অন্যদের সঙ্গে ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক বটতলায় শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে বাংলাদেশের পতাকা তুলে দেন। আওয়ামী লীগ সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হন। স্বাধীনতার পর আ. স. ম. আব্দুর রব নতুন দল জাসদ গঠন করেছিলেন।

বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বর্তমানে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য। শিক্ষাজীবনে তিনি ১৯৬৪-৬৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাবি’র সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের এ.জি.এস ও ১৯৬৭-৬৮ শিক্ষাবর্ষে হাজী মুহাম্মদ মহসিন হলের ভি.পি নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে তিনি ১৯৭১-এ বিলাত প্রবাসীদের সংগঠিত করেন এবং ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক হিসেবে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেন।

ছাত্রজীবনেই ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত হন মাহমুদুর রহমান মান্না। এরপর জাসদে যোগ দেন। ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ছিলেন তিনি। এরপর এক সময়ের জাসদ নেতা মীর্জা সুলতান রাজার নেতৃত্বে জনতা মুক্তি পার্টি গঠিত হলে ওই দলের নেতা হন মান্না। এই দলটি ১৯৯২ সালে আওয়ামী লীগে বিলুপ্ত হলে মান্না হয়ে যান আওয়ামী লীগের নেতা। ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে বাদ পড়েন মান্ন।

আওয়ামী লীগের আরেক নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদের। ৭৫ এর পর প্রথম ছাত্রলীগ নেতা ডাকসুর ভিপি হয়েছিলেন। ছাত্রলীগে তাঁকে তোফায়েল আহমেদের পর সফল নেতা ভাবা হতো। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন একসময়।

আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা ছিলেন এস এম আকরাম। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক পদত্যাগ করেন। এর আগে এস এম আকরাম ১৯৯৪ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে সাংসদ হন।

Bootstrap Image Preview