১৯৭১ সালের ২৮ অক্টোবর মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই সীমান্তে পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে শহীদ হন বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান। আজ তার ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী।
জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দেন হামিদুর রহমান। হামিদুর মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের দক্ষিণ-পূর্বে কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই নামক স্থানে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেন। ২৮ অক্টোবর রাতে ধলই এর যুদ্ধে অসীম সাহসিকতা প্রদর্শন করে শত্রুর গুলিতে শাহাদত বরণ করেন।পরবর্তীতে এই বীর সৈনিকের লাশ ধলই থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের অন্তর্গত আমবাসা গ্রামে দাফন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকার জন্য তিনি সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত হন। পরে তার দেহবশেষ বাংলাদেশে আনা হয় এবং ২০০৭ সালের ১১ ডিসেম্বর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। তবে কমলগঞ্জে এই বীর সন্তানের স্মরণে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছিল সেই সময়। এরপর প্রতিবছর ২৮ অক্টোবর হামিদুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, বিজিবি ব্যাটালিয়ন কমান্ড ও প্রেসক্লাব তার স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
এদিকে ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুরের পরিবার ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার খোর্দ্দ খালিশপুর (বর্তমান হামিদনগর) গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন তাদের পরিবার।
মা কাইছুন নেছাকে দাফন করা হয়েছে ঝিনাইদহের খালিশপুরের মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরের পাশেই। তার বাবা আক্কাস আলীর কবরও বাড়ির সাথে রয়েছে, তা পাকাকরণ করছে জেলা প্রশাসন ।
এই বীরশ্রেষ্ঠর নামে এলাকায় কলেজ, প্রাথমিক বিদ্যালয়, যাদুঘর ও লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি গ্রামের নামকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক হামিদ নগর নামে।