ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামে ১৩ পরিবারের ৩০টি টিনের বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) জুম্মার নামাজের কিছুক্ষন পর এই অগ্নিকান্ডে পরিবারগুলোর সকল আসবাবপত্র ,ধান চাল ও নগদ অর্থ সহ প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে ।এ সময় আগুন নেভানোর চেষ্টায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে জাফর মিয়া(৪৫) ও মক্কর আলী (৪০) নামের দুই ব্যক্তি আহত হয়। তাদের জলঢাকা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একাধিক গ্রামবাসী জানায়, ওই গ্রামের কৃষক মোস্তফার বাড়ির পল্লী বিদ্যুতের মিটারের সংযোগে লুজ কানেকশনে আগুন বের হতে থাকে। এ দেখে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুত অফিসে একাধিকবার মোবাইল করা হলে তারা কেউ রিসিভ করেননি। ফলে মিটারের লুজ কানেকশনের আগুনে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয়ে দ্রুত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে জলঢাকা ফায়ার সার্ভিস ছুটে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ফলে ওই গ্রামের আরো অনেক পরিবারের বসত ঘর রক্ষা পায়।
এদিকে পল্লী বিদ্যুতের জলঢাকা অফিসের গাফলাতির কারন উল্লেখ করে এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানায়, তাদের কারণে ১৩ পরিবার অগ্নিকান্ডে নিঃস্ব হয়েছে। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।
কৈমারী ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি আমরা নীলফামারী জেলা প্রশাসক কে অবগত করেছি। সেই সঙ্গে বিকালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ৩০ কেজি করে চাল, ডাল, সোয়াবিন তেল, লবণ ও নগদ ২ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
অপর দিকে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন। জলঢাকা উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দপুর আলী ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে পরিবারগুলোর মাঝে একটি করে কম্বল প্রদান করেন।
এ বিষয়ে নীলফামারী পল্লী বিদ্যুতের জিএম এস এম হাসনাত হাসান বলেন, ঘটনাটি আমরা তদন্ত করে দেখছি।
জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন বলেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তাৎক্ষনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের জন্য শুকনা খাবার ও চাল বিতরন করা হয়। এলাকাবাসী এই অগ্নিকান্ডের জন্য পল্লী বিদ্যুতের জলঢাকা অফিসের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।