Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

একই মানুষের হাতে তৈরি হচ্ছে পাকিস্তানি জিইসিসহ সব কোম্পানির ফ্যান!

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:৫৩ PM
আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:৫৩ PM

bdmorning Image Preview


পাকিস্তানের স্বনামধন্য ব্রান্ডের ‘জিইসি’ বৈদ্যুতিক পাখা এখন তৈরি হয় হাটহাজারীর বুড়িশ্চর ইউনিয়নে আক্তার হোসেনের (৪৫) কারখানায়। শুধু ‘জিইসি’ ব্রান্ডের পাখা নয়। দেশি-বিদেশি পাঁচটির অধিক ব্র্যান্ডের ফ্যান (বৈদ্যুতিক পাখা) তৈরি হয় একই মানুষের হাতে একই কাঁচামালে! রয়েছে ‘স্টার’, ‘শাহপরাণ’, ‘কেআরবি’, ‘বসুন্ধরা’, ‘নাবিলা’সহ আরও কত নামিদামি ব্রান্ডের বৈদুতিক পাখা। তবে আসল নয়। আসলের নামে দিয়ে তৈরি হয় নকল ব্রান্ডের বৈদুত্যিক পাখা।

বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মধ্যম কুয়াইশ এলাকার এই নকল বৈদ্যুতিক পাখা তৈরির কারখানার খোঁজ পায় উপজেলা প্রশাসন। এরপর সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রুহুল আমীন।

নকল বৈদ্যুতিক পাখা তৈরির অভিযোগে কারখানা মালিক আক্তার হোসেনকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় তিনতলা বাড়ির দ্বিতীয় ও তৃতীয়তলা জুড়ে বিশাল এই নকল বৈদ্যুতিক পাখা তৈরির কারখানাটি সিলগালা করা হয়।

আটককৃত আকতার হোসেন উক্ত ইউনিয়নের উত্তর বুড়িশ্চর আক্তার কোম্পানির বাড়ির মৃত আবদুল জলিলের ছেলে ও ওই কারখানাটির মালিক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন বলেন, কোনো কাগজপত্র ছাড়াই দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে নকল বৈদ্যুতিক পাখা তৈরি করে আসছিলেন আক্তার হোসেন নামের ওই ব্যক্তি। ওইসব ব্র্যান্ডের কোনো ধরনের ছাড়পত্র দূরে থাক স্থানীয় কোনো সংস্থারও কোনো কাগজ বা অনুমতিপত্র নেই। অথচ এইসব বৈদ্যুতিক পাখা স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি।’

‘বেশ কয়েক বছর ধরে চালু এই কারখানায় কাজ করছেন ১০ জনেরও বেশি শ্রমিক। তাদের কাজ হলো খোলাবাজার থেকে কম দামে বৈদ্যুতিক পাখা তৈরির সরঞ্জাম কিনে এনে হাতে কয়েল বেঁধে পাকিস্তানি ব্র্যান্ড জিইসি কিংবা জিএফসি ও দেশি ন্যাশনাল, কেআরবি, স্টার ও নাবিল ব্র্যান্ডের নামে প্যাকেটে ভরে বাজারজাত করা। এই অবৈধ আয়ে আক্তার হোসেন গড়েছেন তিনতলা বাড়ি। যার নিচতলায় নিজে পরিবার নিয়ে বসবাস করলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয়তলা জুড়ে রয়েছে বিশাল এই নকল বৈদ্যুতিক পাখা তৈরির কারখানাটি। এভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় বছরের পর বছর মানুষ ঠকানোর কাজ করে গেলেও কখনো তাকে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন জানান, অভিযুক্ত আক্তার হোসেনকে তাৎক্ষণিকভাবে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অবৈধভাবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহারের দায়ে ২৫টি তৈরি বৈদ্যুতিক পাখা ও আনুমানিক তিন লাখ টাকার বৈদ্যুতিক পাখা তৈরির কাঁচামাল জব্দ করা হয়।

Bootstrap Image Preview