Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

যেভাবে পিল না খেয়েও প্রেগনেন্সি বন্ধ করতে পারবেন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০১৮, ১২:২২ PM
আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৮, ১২:২২ PM

bdmorning Image Preview


গর্ভনিরোধক পিল দীর্ঘদিন খেলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকে। আবার ৭২-ঘণ্টা পিলও ঘনঘন খেতে থাকলে একটা সময় পর ওই পিল আর কাজ করে না। কিন্তু চিকিৎসাশাস্ত্র অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে।

জেনে নিন পিল ছাড়া কীভাবে আটকাবেন গর্ভধারণ-

গর্ভনিরোধক পিলের বহু সাইড এফেক্ট রয়েছে। মাথার যন্ত্রণা, গা-বমি থেকে শুরু করে ঠিক সময়ে পিরিয়ড্‌স না হওয়া, মুড সুইং তো আছেই, তা ছাড়াও একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দীর্ঘদিন এই পিল খেলে গর্ভাশয়ে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নিয়মিত পিল খাওয়া ছাড়াও আরও বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে গর্ভধারণ এড়ানো সম্ভব।

১) পিরিয়ডে নিরাপত্তা-
মেয়েদের পিরিয়ড চলাকালীন অনেকেই নিরাপত্তা ব্যবহার না করেই সহবাস করেন। কারণ প্রচলিত ধারণা হল, মাসের ওই সময়টিতে গর্ভধারণের কোনও সম্ভাবনা নেই। আদতে কিন্তু সম্ভাবনা একটা থেকেই যায়। তা ছাড়া পিরিয়ডের সময়ে নিরাপত্তা ছাড়া সহবাস করলে নানা ধরনের ইনফেকশনও হতে পারে পুরুষাঙ্গে।

২) সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন-
নিরাপত্তা না-পরা অবস্থায় পুরুষাঙ্গকে যোনির সংস্পর্শে আনা উচিত নয়। প্রি-ইজাকুলেশন নিঃসরণে স্পার্ম থাকার সম্ভাবনা থাকে। স্পার্ম হল এমনই এক ধরনের জীবকোষ যা নিঃসরণের পর ৫ দিন পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে এবং যোনিরসের সংস্পর্শে এলে সেই রসের মধ্যে দিয়ে পৌঁছে যেতে পারে ডিম্বাশয়ে।

৩) গর্ভনিরোধক জেল-
মেয়েদের জন্য বেশ কিছু গর্ভনিরোধক জেল বা ফোম রয়েছে। নিরাপত্তার পাশাপাশি এগুলি ব্যবহার করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা ৯৯ শতাংশ এড়ানো সম্ভব। নজ্‌ল বা প্লাস্টিক অ্যাপ্লিকেটরে পাওয়া যায় এই ‘স্পার্মিসাইড’গুলি। ছোট ট্যাবলেটের মতো দেখতে এই অ্যাপ্লিকেটর ইন্টারকোর্সের অন্ততপক্ষে ৫ মিনিট আগে যোনির অনেকটা ভিতরে পুশ করতে হয়। শরীরী উত্তেজনার ফলে অ্যাপ্লিকেটরটি গলে গিয়ে জেলটি বেরিয়ে আসে ও একটি আবরণ তৈরি করে। স্পার্ম এই তরলের সংস্পর্শে এলে নষ্ট হয়ে যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই এই ধরনের অ্যাপ্লিকেটর ব্যবহার করা উচিত। এর কোনও সাইড এফেক্ট নেই এবং এতে শারীরিক উত্তেজনা বা তৃপ্তিতে কোনও প্রভাব পড়ে না।

৪) গর্ভনিরোধক রিং-
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে যদি যোনির ভিতরে গর্ভনিরোধক রিং স্থাপন করা যায় তবে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভধারণের কোনও সম্ভাবনা থাকে না। প্রতিটি পিরিয়ডের পর একটি করে নতুন রিং স্থাপন করতে হয়। ইন্টারকোর্সের সময় একটি বিশেষ হরমোন নিঃসৃত হয় এই রিংগুলি থেকে যা স্পার্মকে অক্ষম করে দেয়। এই রিং অনেকটা অ্যাপ্লিকেটরের মতোই। মেয়েরাই যোনির ভিতরে পুশ করতে পারেন।

৫) গর্ভনিরোধক ইঞ্জেকশন-
ডিপো প্রোভেরা হল এমন একটি ইঞ্জেকশন যা গর্ভনিরোধক পিলের পরিবর্ত যা গর্ভনিরোধক হিসেবে ৯৯ শতাংশ কার্যকর। একটি ইঞ্জেকশন নিলে ৩ মাস পর্যন্ত গর্ভধারণ আটকানো যায় তবে এই ৩ মাসে পিরিয়ড্‌স হবে না। এই ইঞ্জেকশন নিতে হয় নিতম্বে বা বাহুতে।

Bootstrap Image Preview