Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

লালমনিরহাটে চেয়ারম্যানের উপর হামলা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 
প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৫০ PM
আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৫০ PM

bdmorning Image Preview


লালমনিরহাটে জুয়া ও মাদকের আড্ডা বন্ধ করে দেওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। 

মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) বিকালে সদর উপজেলা ভূমি অফিস গেটে এই হামলার শিকার হন তিনি।  

গুরুত্বর অবস্থায় প্রথমে তাকে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলেও পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

রফিকুল ইসলাম সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হারাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল হক খন্দকার ও তার কতিপয় সমর্থক ওই ইউনিয়নের বালাটারী চান্দের বাজার যুব উন্নয়ন ক্লাবে প্রতি রাতে জুয়া ও মাদকের আসর বসান। বিষয়টি জানতে পেরে রফিকুল ইসলাম আসর বন্ধ করে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ও তার লোকজন  তাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেন। এ ঘটনায় তিনি গত ৮ আগস্ট সদর থানায় সিরাজুল হক খন্দকারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। 
এ ঘটনার জের ধরে সাবেক চেয়ারম্যানের ভাতিজা সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মোত্তালিব দলবল নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে চেয়ারম্যান রফিককে আটক করে গালমন্দ করেন। এক পর্যায়ে তাকে তারা  মারধর করলে তিনি গুরুতর আহত হন। এ সময় স্থানীয়রা চেয়ারম্যানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের বাঁধা পেলে পরে তাকে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। 

আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আরিফ হোসেন জানান, ‘তিনি বুকে ও দুই হাতের বাহুতে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছেন।’ 

হামলার বিষয়ে অভিযুক্ত যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মোত্তালিব বলেন, যুবলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান একটি মিথ্যা মাদকের অভিযোগ দায়ের করায় যুবলীগের কয়েকজন কর্মী চেয়ারম্যানকে গালমন্দ করেছেন। তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঠিকই তবে হামলা বা গালমন্দ করেননি।

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মাহফুজ আলম জানান, স্থানীয়ভাবে বিষয়টি শুনেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


 

Bootstrap Image Preview