দৈনন্দিন ব্যস্ততার কারণে আমরা নিজেদেরকে দু'দণ্ড আয়নায় দেখারও সময় পাই না। সেখানে আলাদা করে চুলের যত্ন নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তাইতো সারাবছর চুলের সমস্যা লেগেই থাকে। কখনো খুশকি, কখনো রুক্ষ বিবর্ণ চুল কখনো আবার চুল উঠে যাওয়া। সমস্যার যেন শেষই হয় না। তাই আমাদের উচিৎ রোজ একটু করে চুলের যত্ন নেওয়া।
এজন্য জেনে নেওয়া যাক চুলের যত্ন নেওয়ার কিছু উপায়-
১। চুল পাতলা হলে নিয়মিত ট্রিম করে নিতে হবে। এতে চুল তুলনামূলক ঘন দেখাবে। তিন মাস অন্তর একবার ট্রিম করে নিলে চুল সুস্থ আর সুন্দর থাকবে।
২। নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল বা সরষের তেল চুলের জন্য খুব ভালো কন্ডিশনার। বড় চামচের দু'তিন চামচ তেল গরম করে তারপর হালকা ঠান্ডা করে নিতে হবে। এরপর তেলটা চুলের গোড়ায় এবং গোটা চুলে ভালো করে মেখে নিতে হবে। শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে ঢেকে সারা রাত রেখে পরের দিন শ্যাম্পু করে নেলেই চুল সুন্দর হতে বাধ্য!
৩। যাদের চুল কোঁকড়া আর রুক্ষ, তারা প্রি-কন্ডিশনিং করলে দারুণ ভালো ফল পাবেন। বেশ খানিকটা কন্ডিশনার হাতে নিয়ে সারা চুলে ক্রিমের মতো মেখে নিয়ে পাঁচ-দশ মিনিট রাখতে হবে। যাতে চুল কন্ডিশনারের আর্দ্রতা আর পুষ্টি শুষে নিতে পারে। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে।
৪। যতটা সম্ভব চুল থেকে পানি ঝরিয়ে নিয়ে তারপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে জট ছাড়িয়ে নিতে হবে। নিচের দিক থেকে আঁচড়াতে শুরু করুন, ধীরে ধীরে উপরদিকে উঠতে হবে।
৫। প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে চুলের উপরে স্বাভাবিক তেলের আস্তরণ নষ্ট হয়ে যায়। সপ্তাহে দু'তিনবারের বেশি শ্যাম্পু করা যাবে না। বেবি শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুল ভালো থাকবে।
৬। নারিকেল তেল, কলা, মেয়োনিজ, ডিম, অলিভ অয়েল, অ্যালোভেরা, মধু, টক দই দিয়ে বানিয়ে নিন রকমারি হেয়ার মাস্ক। প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেলে চুল স্বাভাবিকভাবেই স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
৭। চুল খোলা অবস্থায় শুলে বালিশের সঙ্গে ঘষা লেগে চুল উঠে যেতে পারে। এছাড়া চুলে জট পড়ে রুক্ষ ও অমসৃণও হয়ে যেতে পারে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে আলগা বিনুনিতে চুল বেঁধে রাখতে হবে।