প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমাদের হাতে সময় খুব কম। আগামীকাল পার্লামেন্ট বসছে, এই পার্লামেন্টই আমাদের এ সরকারের শেষ বৈঠক। এরপর নির্বাচন প্রক্রিয়া। নির্বাচনে যদি জনগণ ভোট দেয় তাহলে (ক্ষমতায়) আসব, আর যদি না দেয় তবে আমার কোনো আফসোস নেই। আমার খুব একটা আফসোস নেই। কারণ, বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাটা যে আমরা শুরু করেছি সেটা যাতে অব্যাহত থাকে সেটা আপনারা দেখবেন।’
শনিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
এসময় মহৎ অর্জনের জন্য মহান ত্যাগের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা তো কখনও নিজের চিন্তা করতে শিখিনি। আমরা যা শিখেছি বাবার কাছ থেকে শিখেছি। যতটা সেক্রিফাইস করা যায়, কোনো মহৎ অর্জনের জন্য মহান ত্যাগের প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার লক্ষ্যই ছিল অন্তত একটানা যদি দুই বছর ক্ষমতায় থাকা যায় তাহলে উন্নয়নটা দৃশ্যমান হবে। যেমন পদ্মাসেতু এখন দৃশ্যমান হচ্ছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে, দেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে নৌকায় ভোট দেবেন। ভোট দিলে আবার আসবো না দিলে আফসোস নেই। কারণ আমার লক্ষ্য ছিল টানা ক্ষমতায় থাকতে পারলে উন্নয়ন দৃশ্যমান হবে। আমাদের সে আশা পূরণ করেছি। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এ দেশের সোনার ছেলে-মেয়ে তৈরির দায়িত্ব আপনাদের। সোনার সন্তান তৈরি করে দেশকে এগিয়ে নেবেন। এ দেশ যেন আর থেমে না যায়।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা ক্ষমতাটাকে ভোগের বস্তু মনে করে আর ব্যবসার সুযোগ মনে করে তারা দেশের কোনো উন্নয়ন করতে পারে না। আর নিজের ভাগ্য গড়া যাদের মাথায় থাকে তারা দেশকে কী দেবে?’
সম্মেলনে বর্তমান সরকারের নানা সাফল্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমাদের ১৫১টা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যেখানে ৪৮টা পাবলিক ও ১০৩টা প্রাইভেট। আমাদের একটা লক্ষ্য হচ্ছে, যত বড় বড় এলাকা আছে, যেসব জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় নেই সেসব জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব। যেখানে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় নাই সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। উদ্দেশ্য একটাই যাতে আমাদের ছেলেমেয়েরা ঘরে বসে যাতে শিক্ষাটা পায়।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কারিগরি শিক্ষা ও বিজ্ঞান শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়ে বসে নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য যা যা করণীয় তার সবকিছুই আমরা করে যাচ্ছি।
জাতির পিতা শিক্ষাকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা শিক্ষাকে অবৈতনিক ঘোষণা করেছিলেন। সংবিধানে শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। শিক্ষার মাধ্যমে জাতিকে তিনি উন্নত করতে চেয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষাব্যবস্থা করেছি। আমরা শিক্ষানীতি তৈরি করি। আমরা মানুষের মধ্যে শিক্ষার আগ্রহ বাড়াতে কাজ করেছি।