Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘তোকে লাথি মেরে এখান থেকে বের করে দেব’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:৪৫ PM
আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:৪৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ আবাসিক হলের প্রহরী নওশাদকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলে এ ঘটনা ঘটে।

হল প্রহরীকে মারধরকারী ছাত্রলীগ নেতার নাম রাতিক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সামাজিক অনুষদ শাখার সাধারণ সম্পাদক।

জানা যায়, শনিবার দুপুরে ছাত্রলীগ নেতা রাতিক তার এক গেস্টকে নিয়ে হলে প্রবেশ করেন। এ সময় হল প্রহরী নওশাদ গেস্টের পরিচয় জানতে চান। সেই সঙ্গে প্রহরী নওশাদ রাতিককে বলেন আপনার গেস্টকে রুমে নিতে চাইলে প্রভোস্ট স্যারের অনুমতি লাগবে।

বিষয়টি নিয়ে প্রহরী নওশাদ ও ছাত্রলীগ নেতা রাতিকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। রাতিক তখন চিৎকার দিয়ে বলেন, আমাকে তুই চিনিস, আমি এই হলের নতুন দায়িত্ব পেয়েছি। আমি যা করতেছি তুই শুধু দেখ, বাধা দিবি না। তোকে এখানে কে রেখেছে? তোকে লাথি মেরে এখান থেকে বের করে দেব।

এ সময় প্রহরী নওশাদ রাতিকের রুম নম্বর জানতে চান। তখন রাতিক ক্ষেপে গিয়ে নওশাদকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন এবং বলেন, আমি কত নম্বর রুমে থাকি পারলে আমার সঙ্গে এসে দেখে যা। আমার কাছে জানতে চাচ্ছিস কেন?

প্রহরী নওশাদ বলেন, ভর্তি পরীক্ষার সময় হলে পরীক্ষার্থী ছাড়া অন্য কোনো গেস্ট রাখার অনুমতি নেই। এ বিষয়ে হলে নোটিশও দেয়া হয়েছে। কিন্তু রাতিক তার গেস্টের পরিচয় দেয়াতে ওনাকে প্রভোস্ট স্যারের সঙ্গে কথা বলতে বলি। এতেই ওনি তেড়ে এসে আমাকে মারধর করেন।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে রাতিক বলেন, হল প্রহরীকে কোনো মারধর করা হয়নি। আমার এক ভর্তি পরীক্ষার্থীর বড় ভাইকে রুমে নিয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় হল প্রহরী আমাকে বাধা দেয়। তাকে আমার পরিচয় দেই এবং প্রভোস্টের অনুমতি নেয়া আছে বলে জানাই। তবুও তিনি আমাকে যেতে বাধা দেয়। তাই ওনাকে ধাক্কা দিয়ে আমার গেস্টকে আমি রুমে নিয়ে আসি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদার বখশ হলের প্রভোস্ট আবদুল আলিম বলেন, গেস্ট রাখার জন্য কেউ আমার কাছে অনুমতি চায়নি। মারধরের বিষয়টি আমি শুনেছি। বিষয়টি আমি দেখছি।

Bootstrap Image Preview