লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জেলেদের ভিজিএফের চাল কালোবাজারে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২০ অক্টোবর) সকালে অভিযুক্ত চর আবদুল্লাহ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিনের নিজস্ব কার্যালয়ের পাশে জামাল উদ্দিনের গুদামঘরে অভিযান চালায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল হক। এ সময় ২২ বস্তা ভিজিএফের চাল উদ্ধার ও গুদামঘরের মালিক জামালকে আটক করা হয়।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান চলায় নদীতে মাছ শিকার থেকে বিরত রয়েছে জেলেরা। এই নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের ভিজিএফের চাল বিতরণের জন্য চাল দিয়েছে সরকার। অথচ সে চাল চেয়ারম্যান বিতরণ না করে কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে। অথচ নিষেধাজ্ঞার সময় কষ্টে দিন কাটছে জেলেদের। তাই তারা এ ঘটনায় জড়িত সকলের শাস্তি কামনা করেন।
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন জানান, তিনি চাল বিক্রির সাথে জড়িত নয় এবং চাল তিনি বিক্রি করেননি। জব্দকৃত চাল জেলেদের থেকে ক্রয় করেছে দোকানদার জামাল। একটি স্বার্থন্বেসী মহল তার বিরুদ্ধে অপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করে আসছে। সে ষড়যন্ত্রের শিকার।
তবে আটককৃত জামাল উদ্দিন এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে জামালের গুদামঘরে অভিযান চালানো হয়। নিষেধাজ্ঞা কালীন সময়ে জেলেদের জন্য বরাদ্ধকৃত ভিজিএফের ২২ বস্তা চাল জব্দ ও প্রতিষ্ঠানের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
জব্দকৃত ভিজিএফের ২২ বস্তা চাল থানা হেফাজতে রয়েছে। এছাড়াও এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান রামগতি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম আরিচুল হক।