সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর সাথে একটি স্মৃতিকথা শেয়ার করেছেন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের লেকচারার ও গানকবি'র কর্ণধার সাহস মোস্তাফিজ।
তিনি সেই স্মৃতিকথায় লেখেন, সবার বাচ্চু ভাই বা এবি আমার বাচ্চু আংকেল। তখন ২০০১ সাল। বাবাকে ফোন দিলেন বাচ্চু আংকেল। মহাতারকা এলআরবি'র বাচ্চু ভাই। আমাকে দিয়ে একটা গান করাবেন হোটেল সোনারগাঁও এর বলরুমে একটা এওয়ার্ড প্রোগ্রামে। আমি বাচ্চা ছেলে! অতো শতো বুঝি না। আমাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হলো তাঁর ও শ্রদ্ধেয় ফোয়াদ নাসের বাবু আংকেলের সিদ্ধেশ্বরীর 'আর্ট অব নয়েজ' স্টুডিওতে। মাকে নিয়ে গাওয়া আমার সেই গানে গিটার বাজিয়েছিলেন তিনি মঞ্চে, আমার পাশে। ওই এক গানের জন্য অন্তত ৭ দিন ৩ ঘণ্টা করে প্র্যাক্টিস করেছেন আমার সাথে।
একদিন গান গাইছিলাম, উনি গিটার বাজাতে বাজাতে ৫-৭ মিনিট ধরে বাজিয়েই চলেছেন। এক পর্যায়ে ভীষণভাবে কেঁদে ফেলেছিলেন! মাকে নিয়ে গান, আবেগ ধরে রাখতে পারেননি৷ আমি গান শেষে তাঁকে সালাম করতে গেলাম, আমাকে বললেন, তুই আমাকে কি সালাম করবি, আয় আমি তোকে সালাম করি! বলেই বুকে জড়িয়ে নিলেন!
আমার বাচ্চু আংকেল, বাচ্চু ভাই! একজন মহাতারকা। রূপালি গিটারের ঈশ্বর৷ কিন্তু আমি তাঁর শিশুসুলভ মন, ডেডিকেশন আর জুনিয়রদের জন্য অসীম স্নেহ, শ্রদ্ধা-ভালোবাসার সাক্ষী।
বাচ্চু ভাইরা মারা যান না! বাচ্চু বাইদের মৃত্যুর অধিকার নেই। বাচ্চু ভাইরা আমার মতো কোটি কোটি সাহসের হৃদয়ে মহাপুরুষ হয়ে বেঁচে থাকেন...।
ওখানেই ভালো থাকবেন এবি। আমরাও আসছি, দু'দিন আগে আর পরে... এই যা...।