বিবর্ণ রঙে দাঁড়িয়ে আছে শেওলা জমা বাচ্চুর সেই বাড়ি

আজ আমাদের মাঝে নেই কোটি ভক্তের হৃদয়ে যায়গা করে নেওয়া কিংবদন্তী আইয়ুব বাচ্চু। তবে বিবর্ণ রঙে দাঁড়িয়ে আছে শৈশব-কৈশোর কাটানো তার সেই বাড়ি। এই ভবনগুলো সঞ্চয় করে রেখেছে আইয়ুব বাচ্চুর জীবনের বহু গল্প।

চট্টগ্রাম নগরের এনায়েত বাজার এলাকাস্থ ৩৪৪ জুবিলী রোড, নুরুজ্জামান সওদাগরের বাড়ি। তিনতলার ভবনটির গায়ে শেওলা জমেছে। পুরনো বাড়িটির বিভিন্ন জায়গায় জন্মেছে পরগাছা। এই বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ফিরিঙ্গিবাজারের হাজী নুরুজ্জামান আবাসিক এলাকার ‘হাজী বিল্ডিং’ ও ‘সখিনা ম্যানশন’।

হঠাৎ করেই গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ভবনগুলোতে বাড়তে থাকে দর্শনার্থীদের আনাগোনা। শুরু হয় শোকের মাতম। কারণ এই ভবনগুলোর সঙ্গেই জড়িয়ে আছে আইয়ুব বাচ্চুর জন্ম ও বেড়ে ওঠার হাজারো স্মৃতি।

জানা যায়, কিংবদন্তী এই শিল্পীর জীবনের একটি অংশ কেটেছিল নুরুজ্জামান আবাসিক এলাকার হাজী বিল্ডিংয়ের তিনতলায়। সেখানে ভাইবোনদের নিয়ে বসবাস করতেন বাবা। এখন সেখানটা ভাড়া দেয়া হয়েছে। এই ভবনের নিচতলায় থাকেন ফুফাতো ভাই হাসান রিয়াদ।

এনায়েত বাজারের বাড়িটিতেই জন্মেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। এখন আর পরিবারের কেউ থাকেন না এই ভবনে। বিভিন্ন কক্ষ ভাড়া দেওয়া হয়েছে। মেসও আছে সেখানে। আছে গুদামঘর ও দোকান। একসময় বছরে অন্তত একবার হলেও সেখানে যেতেন। তবে ২০১২ সালের পর থেকে সেভাবে সেখানে যেতেন না।

ছবির লাল রঙের এই ভবনেই শৈশব-কৈশোর কেটেছে ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চুর। ওই ভবনের দোতলার একটি কক্ষে থাকতেন এই গিটার লিজেন্ড। আর রাতে ছাদেই গিটার বাজাতেন তিনি। এরপরই আস্তে আস্তে তার সুর ছড়িয়ে পড়েছে উপমহাদেশের আকাশে।