Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

গোলাপগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী হয়রানির অভিযোগ

গোলাপগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৩:৫০ PM
আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৩:৫১ PM

bdmorning Image Preview


সিলেটের গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ইংরেজি বিষয়ের সহকারি শিক্ষক মোতালেব হোসেন বিরুদ্ধে ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শিক্ষক মোতালেব হোসেন পরীক্ষা শেষে পাশে দাঁড় করিয়ে রাখেন। সে চলে যেতে চাইলে তাকে খাতা গননা করতে বলেন। গননা শেষে সে চলে যেতে চাইলে মোতালেব হোসেন ছাত্রীর হাতে ধরে তাকে পাশে দাড়ঁ করিয়ে আপত্তিকর কথাবার্তা বলেন। পরে সে জোড় করে চলে যায় এবং অভিভাবকদের বিষয়টি জানায়।

পরদিন অভিভাবকরা অধ্যক্ষ বরাবরে লিখিত অভিযোগ করলে অধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন খান ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্তকালে কমিটির সদস্যরা আরও একাধিক ছাত্রীকে হয়রানীর অভিযোগ পান। মোবাইলে কু-রুচিপূর্ণ ম্যাসেজ দেয়া, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া, উপহার দেয়ার চেষ্টা করা, গাঁ ঘেষে ছবি তুলে তা জুম করে দেখানো ও জড়িয়ে ধরাসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন ছাত্রীরা। 

এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির সদস্য সহকারি প্রধান শিক্ষক সালমান আহমদ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি খুবই ন্যাক্কারজনক যে, একটি বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত  প্রতিবেদনে ভাষাগত শিষ্টতা বজায় রেখে অভিযোগগুলো উল্লেখ করা হয়েছে।

অধ্যক্ষ ইসমাইল উদ্দিন খান অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত কমিটি সেই অভিযোগসহ আরো অভিযোগ পেয়েছে। শিক্ষক মোতালেব হোসেনকে কারণ দর্শানের নোটিশ দেয়া হয়েছে।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানা অফিসার ইনচার্য একেএম ফজলুল হক শিবলীর কাছে মৌখিক ও লিখিত এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারকেও বিষয়টি মৌখিক ভাবে জানিয়েছি। তাছাড়া অধ্যক্ষ ও তদন্ত কমিটির সদস্য সালমান আহমদ চৌধূরী বলেন, তাঁদের কাছে ছাত্রীদের অভিযোগের প্রায় ২ ঘন্টার রেকর্ড রয়েছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহাবউদ্দিন আহমদ জানান, তদন্তে শিক্ষকের চারিত্রিক স্খলনের প্রমান পাওয়া গেছে। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে, প্রতিবেদন পাওয়ার পর শিক্ষক মোতালেব হোসেনকে পরিচালনা কমিটি কারণ দর্শানের নোটিশ করলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

গোলাপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম ফজলুল হক শিবলী ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অভিজিত কুমার পাল মৌখিক অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তাছাড়া আরোও জানা যায়, শিক্ষক মোতালেবসহ দু একজন শিক্ষক এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী কুচক্রি লোকদের ম্যানেজ করে আবার ও স্বপদে আসার তদবির করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন অনেক অভিভাবক ও এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তির।

Bootstrap Image Preview