চুল পড়ে যাচ্ছে? চুলের যত্নে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন টমেটোর রস। আমরা অনেকেই মনে করি কেবল ত্বকের যত্নেই কার্যকর টমেটো। এটি ভুল ধারণা। ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্নেও টমেটো অতুলনীয়।
চুলের যত্নে টমেটো ব্যবহার করবেন কেন?
১. টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা চুলের গোড়া থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।
২. চুলের হারিয়ে যাওয়া জৌলুস ফিরিয়ে আনে টমেটো।
৩. টমেটোতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।
৪. মাথার ত্বকের চুলকানি দূর করে।
৫. চুল ঘন ও কালো করে।
৬. খুশকির জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া দূর করে টমেটোর অ্যাসিডিক উপাদান।
৭. প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে টমেটো। ফলে চুল হয় নরম ও কোমল।
৮. চুল ভেঙ্গে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
জেনে নিন টমেটোর কয়েকটি হেয়ার প্যাক কীভাবে তৈরি ও ব্যবহার করবেন-
খুশকি দূর করতে-
৩টি পাকা টমেটো চটকে নিন। ২ টেবিল চামচ লেবুর রস মেশান। প্রয়োজনে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন। আঙুলের সাহায্যে চুলের গোড়ায় লাগান পেস্টটি। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু করার প্রয়োজন নেই। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন দ্রুত ফল পেতে।
ঘন চুলের জন্য-
একটি পাকা টমেটো চটকে ২ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল মেশান। মিশ্রণটি সামান্য গরম করে চুলের গোড়ায় লাগান। কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করে অপেক্ষা করুন ১ থেকে ২ ঘণ্টা। ঠাণ্ডা পানি ও ভেষজ শ্যামপু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন। চুল হবে ঘন ও উজ্জ্বল।
কন্ডিশনার হিসেবে-
২টি পাকা টমেটো পেস্ট করে ২ টেবিল চামচ মধু মেশান। মিশ্রণটি ব্যবহারের আগে কিছুক্ষণ রেখে দিন। চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন চুল।