ব্যান্ডসংগীত কিংবা গিটারে দুটোতেই কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চু। তার হাত ধরেই গানে গিটারের ব্যবহার ও গিটারের জনপ্রিয়তা এসেছে।
কনসার্টে বাচ্চু মানেই কানায় কানায় পূর্ণ গ্যালারি। মঞ্চে গাওয়া তাঁর সব গানই ছিল জনপ্রিয়। ছিলেন গিটারের জাদুকর। গিটারের সুরে ‘সেই তুমি’ কিংবা ‘এক পুরুষে গড়ে ধন’, ‘হাসতে দেখ গাইতে দেখ’, ‘এক দিন ঘুমভাঙা শহরে’, ‘আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘সেই তারা ভরা রাতে’, ‘এখন অনেক রাত’সহ আরও অনেক গান গাইতেন তিনি।
তার গান শুরু হলেই দর্শক নিশ্চুপ এরপর মৃদু দুলুনি তারপর আবার উন্মাতাল হৈহুল্লোড়। সঙ্গেসঙ্গে গানের গলা মেলানো। ঠিক একই চিত্র দেখা গিয়েছিল আইয়ুব বাচ্চুর শেষ কনসার্টে।
গত মঙ্গলবার আইয়ুব বাচ্চু তার জীবনের শেষ কনসার্ট করেন রংপুর জেলা স্কুল মাঠে। সেখানে কনসার্টের ফাকেঁই রাত পৌনে ১২টায় তিনি তার শেষ স্ট্যাটাসটি দিয়েছিলেন। সেদিন অন্যান্য সব জনপ্রিয় গানের সঙ্গে সেখানে তিনি গেয়েছিলেন- ‘আর বেশি কাঁদালে উড়াল দেব আকাশে’। তার গানের কথাই যেন সত্যি হল। মাত্র একদিনের ব্যবধানে তিনি আকাশে উড়াল দিয়ে চলে গেলেন।
শেষ স্ট্যাটাসটিতে তিনি রংপুরবাসীকে সালাম জানিয়েছিলেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন রংপুরবাসীর উদ্দেশে। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছিলেন, যেখানে সংগীতশিল্পী আছে, সেখানে সংগীত আছে। সেলফি নিয়েছিলেন তার ভক্ত-অনুরাগীদের সঙ্গে। রাতটা খুব উপভোগ্য হলো জানিয়ে তিনি রংপুরে সংগীত প্রেমীদের সঙ্গে গান করতে আবার আসবেন বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন।
এলআরবির পক্ষ থেকে জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার রংপুরে কনসার্ট ছিল আইয়ুব বাচ্চুর। কনসার্ট শেষে গতকাল বুধবার দুপুরে বাড়ি ফেরেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ৮টার সময় মগবাজারের নিজ বাসায় তাঁর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় বাংলার এ কিংবদন্তীর। এর পর দ্রুত তাঁকে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সকাল ৯টার সময় তিনি মারা যান বলে চিকিৎসকরা জানান।