রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়ার নবজাতক ৬ দিন পর মায়ের কোলে ফিরল। নবজাতককে উদ্ধার করেছে মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ।
রবিবার সকালে হাসপাতাল ক্যাম্পাসের একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে ওই নবজাতককে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ ইয়াসমিন সুলতানা মুন্নি (৩২) নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে। দুপুরে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ কমিশনার জানান, লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার ভেলাগুড়ি এলাকার ফারুক মিয়ার স্ত্রী ইয়াসমিন সুলতানা মুন্নি (৩২) ওই নবজাতককে চুরি করেন। তারপর থেকেই হাসপাতাল ক্যাম্পাসে পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটসংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত ভবনে আত্মগোপন করে ছিলেন মুন্নি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুন্নি পুলিশকে জানান, তিনি নবজাতককে সন্তানের মতো লালনপালন করতে চুরি করেছিলেন। তার আগের স্বামীর একটি সন্তান রয়েছে। হাসপাতালের ক্যাম্পাসসংলগ্ন পরিত্যক্ত একটি ভবনে মুন্নির এক আত্মীয় থাকতো। আত্মীয়ের কাছে থাকার সুবাদে তার হাসপাতালে অবাধ যাতায়াত ছিল বলেও জানান তিনি।
তবে লালন-পালন নাকি চুরি করে বিক্রির উদ্দেশ্য ছিল এবং এর সঙ্গে কোনো চক্র জড়িত কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গত বুধবার সকালে স্বজনরা নবজাতককে তার (মুন্নি) কোলে দিয়ে বাথরুমে যান। আর এই সুযোগে সে বাচ্চাটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নবজাতককে রবিবারই মায়ের কোলে তুলে দেওয়া হয়।
নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাড়িরঝাড়া গ্রামের পরশ চন্দ্রের স্ত্রী সুধারানী গত মঙ্গলবার সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য রামেকে ভর্তি হন। প্রসূতি ওয়ার্ডে ওই রাতে সিজার করে পুত্র সন্তান জন্ম দেন তিনি। পরদিন সকালে ওই নারী শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যান। পরশ চন্দ্র ও তার আত্মীয়স্বজন বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানান। এরপর হাসপাতালের পরিচালক অভিযোগটি কোতয়ালী থানায় নথিভুক্ত করার জন্য পাঠিয়ে দেন।
এ বিষয়ে নবজাতকের নানা সন্তোষ কুমার বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ। তারা বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানোর পর শেষে হাসপাতালের ক্যাম্পাস থেকেই নবজাতককে উদ্ধার করে।