Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ওয়ার্ল্ড একাডেমী ফর ওমেন এখন বাংলাদেশে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:০০ PM
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:০৬ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: বিডিমর্নিং


ওয়ার্ল্ড একাডেমী ফর দা ফিউচার অব ওমেন বাংলাদেশ শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। সার্বিক সহযোগিতায় থাকছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে।

আজ রবিবার সকাল ১০টায় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের নিজস্ব ক্যাম্পাসে প্রথমবারের মতো “ওয়ার্ল্ড একাডেমী ফর দা ফিউচার অব ওমেন” এর বাংলাদেশ শাখার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সফল নারী উদ্যোক্তা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রোকেয়া রাহমান। তিনি জানান, ১২ ভাই বোনের পরিবারে তাকেও লড়াই করেই নিজের জায়গা বানাতে হয়েছে। প্রথম কাজ করা শুরু হয় একটি ব্যাংকে। তারপর শুরু করেন ব্যবসা। এরপর মাইক্রো ক্রেডিট পদ্ধতি চালু করে সাহায্য করা শুরু করেন আরও অনেক নারীকে।

বর্তমানে ২০ লক্ষ মহিলা তার প্রণোদিত মাইক্রো ক্রেডিট সুবিধা গ্রহণ করছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের জোড়ে বর্তমান সরকার আজ মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল পূরণ করতে পেরেছে । নারী ক্ষমতায়ন না হলে কোন ধরনের অগ্রগতি সম্ভব নয়। মেয়েরা অনেক কাজ একসাথে করতে পারে। দুই পা সামনে দিলে তারা একশ পা এগিয়ে যেতে পারে।

ওয়ার্ল্ড একাডেমির ফাউন্ডার জেরি উবারি বলেন, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একটি দীর্ঘস্থায়ী এবং সুদূরগামী সম্পর্ক হবে বলে মনে করছেন তারা।

১৯৯৫ সালে বেইজিং এর চার হাজার মেয়ে একসাথে মিলে তৈরি করা মুভমেন্ট থেকেই জন্ম নেয় জাতিসংঘ গোল্ডেন মিলেনিয়াম গোলগুলো । সেই ঘটনার উপর ভিত্তি করেই নারীদের অগ্রযাত্রার জন্য এই বিশাল পদক্ষেপ নিয়েছিলেন জেরির। তিনি স্বপ্ন দেখেন যে বাংলাদেশের অবস্থান একদিন বিশ্বের বিশটি শ্রেষ্ঠ ওয়ার্ল্ড একাডেমির ভেতর থাকবে।

“ওয়ার্ল্ড একাডেমী ফর দা ফিউচার অব ওমেন” এর দীক্ষক মিসেস লেসলি হ্যামন্ড এর অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাছাইকৃত ১০০ জন নারীকে শপথ গ্রহণ করানোর মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। ওয়ার্ল্ড একাডেমী মূলত আট মাসের একটি দক্ষতা এবং নেতৃত্বমূলক শিক্ষা প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে যার মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে একজন নারী স্বনির্ভর এবং সচেতন নাগরিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে। অন্যদিকে, সার্বভৌমভাবে পথ নির্দেশনা দিতে পারবে আশেপাশের মানুষকেও।

লেসলি জানান, গত বিশ বছর ধরে তারা চীন এবং নেপালের বিভিন্ন প্রদেশের মেয়েদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এখন তার মূল লক্ষ্য বাংলাদেশী নারীদের প্রতিভা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা এবং আন্তর্জাতিক নাগরিক হিসেবে তৈরি করা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের উপাচার্য প্রফেসর জহিরুল হক, ইউল্যাবের বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য তাহিরা হক, ইউল্যাবের বোর্ড অব ট্রাস্টির বিশেষ উপদেষ্টা প্রফেসর ইমরান রহমান।

Bootstrap Image Preview