Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

তারেককে দেশে ফেরানোর বিষয়ে যা বললেন ইংল্যান্ডের আইনজীবী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০১৮, ১০:২৯ PM
আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৪১ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


২০০৪ সালের ২১ আগস্টের নারকীয় গ্রেনেড হামলা মামলার সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ এবং তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, সাবেক সাংসদ কায়কোবাদসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে।

মামলায় ৪৯ আসামির মধ্যে কারাগারে রয়েছেন ৩১ জন। বাকিদের মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৮ জন পলাতক রয়েছেন। এ মামলার রায়ের পর থেকেই তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজার সম্মুখীন করার দাবি জানাচ্ছেন অনেকে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তারেক রহমানকে দেশে ফেরত আনার জন্য ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করারও আহ্বান জানিয়েছেন।

তবে একুশে অগাস্ট হামলা মামলার রায় সরকারের জন্য বিশেষ কোন আইনগত সুবিধে তৈরি করতে পারবে না বলেই মনে করেন ইংল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ।

বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তারেক রহমান সফলভাবে প্রমাণ করতে পেরেছেন যে, বাংলাদেশে ফেরত গেলে তার ওপর জুলুম হবে। ব্রিটিশ সরকারকে তিনি বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন বলেই তাকে আশ্রয় এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

ইংল্যান্ডের এ আইনজীবী জানান, এক্সট্রাডিশন ট্রিটি বা এমল্যাট - যাই হোক না কেন ২০০৩ সালের এক্সট্রাডিশন আইন এবং ২০০২ সালের কমনওয়েলথ দেশগুলোর এক্সট্রাডিশন সংক্রান্ত আইনগুলোর আওতার মধ্যে থেকে ব্রিটিশ সরকারকে তারেক রহমানকে ফেরত নেয়ার আবেদন বিবেচনা করতে হবে।

এক্সট্রাডিশন ট্রিটির আইনগত প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করে আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ বলেন, যদি বাংলাদেশ সরকার ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেরত চেয়ে কোনো আবেদন পাঠায় তাহলে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এসব আইনের আলোকে করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি সেটা ঠেলে দিতে পারেন আদালতে। আদালত এক্ষেত্রে প্রথমে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের পরোয়ানা জারি করতে পারে। আদালতের বিবেচনা হবে এ ক্ষেত্রে কোনো আইনি বাধা আছে কিনা।

তিনি বলেন, এই বাধাগুলোর একটি হলো যে সাজার কথা বলে তাকে ফেরত নেয়া হবে, তার বাইরে যেন তার বিরুদ্ধে নতুন কোনো মামলা দায়ের কিংবা তার কোনো সাজা না হয়। আদালতের রায় বিরুদ্ধে গেলে তারেক রহমান একে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন। হাইকোর্টে এবং সুপ্রিমকোর্ট পেরিয়ে মানবাধিকার-সংক্রান্ত ইউরোপীয় আদালতেও যেতে পারবেন। এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। আইনের বর্তমান কাঠামোর অধীনে বাংলাদেশ কোনোভাবেই তাকে ফেরত পাবে না।

Bootstrap Image Preview