শেষ রাত। সুবেহ সাদেকের আবহ বিরাজ করছে চরাচরে। অন্ধকারে হেডলাইটের আলো জ্বেলে চলছে সড়কের গাড়িগুলো। পোষাক পরা ৪জন পুলিশ সদস্য সড়কে ব্রীজের উপর দুটি গাড়ি দাঁড় করিয়ে বেরিকেড সৃষ্টি করেছে। একটি প্রাইভেটকার দ্রুতগতিতে এগিয়ে আসছে। পুলিশ প্রস্তুত গাড়িটিকে আটক করতে। কিন্তু গাড়িটি সড়কে পুলিশ দেখেই দ্রুত পাশ কাটিয়ে চলে গেলো গ্রাম্য পার্শ্ব রাস্তায়।পুলিশও একটি সিএনজি বেবীটেক্সি নিয়ে প্রাইভেটকারের পিছু নিলো।
তবে, তার আগেই প্রাইভেটকারটি চলে গেছে দৃষ্টির আড়ালে। সামনে কয়েকটি রাস্তার মোড়। পুলিশ মোড়ে গিয়ে বুঝে উঠতে পারছেনা গাড়িটি কোন রাস্তায় গিয়েছে। উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে এসআই ফারুক হোসেন গাড়ির চাকার দাগ খুঁজতে লাগলেন। পেলেনও, তবে সময়টা গড়িয়ে গেছে বেশ। গাড়ির চাকার দাগ দেখে দেখে অনুসরন করে এগিয়ে চলছে পুলিশ। ফজরের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়েছে স্থানীয় মুসল্লিরা। ভোরের আলো হেসে উঠেছে ততোক্ষণে।
কামালপুরের জনৈক কেনু মিয়ার বাড়ির পাশে পাওয়া গেলো প্রাইভেটকারটি। কিন্তু তার মধ্যে নেই কোন চালক বা আরোহী। স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ লোকজন চলে এসেছে এরই মধ্যে। তাদের সামনেই গাড়িটির মধ্যে থেকে কয়েকটি বস্তায় পাওয়া গেলো প্রায় দুই মন গাঁজা।
ঘটনাটি ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার কসবা থানা এলাকার কামালপুর গ্রামে। ০৯ অক্টোবর ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কসবা থানা পুলিশ ওই প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে মোট ৭৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ইতোমধ্যে। মামলা দায়ের হয়েছে কসবা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে। চলছে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা।