কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার চান্দিনায় মাইক্রোবাস ও বালিবাহী ট্রাকের সংঘর্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ কলেজছাত্রীসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয় ১১ জন।
বুধবার (১০ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ২টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা গোবিন্দপুর এলাকায় এঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- দেবিদ্ধার উপজেলা প্রেমু গ্রামের আব্দুল ওহাবের মেয়ে পপি আক্তার (১৮), একই গ্রামের মরিয়ম আক্তার মুনমুন (১৮)। তারা উভয়ই চান্দিনা মহিলা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। অপরজন হলেন- কুমিল্লা মনোহরগঞ্জ উপজেলা র্দূড়াপুর গ্রামের লাবলী আক্তার (২৮)।
আহতরা হলেন- ময়নামতি পরিজপুর এলাকার আব্দুল কাইয়ূম (৩৮) মনোহরগঞ্জ এলাকার মহিউদ্দিন (২৫), সামছুল হুদা(৪৫) মনোহরগঞ্জ র্দূগাপুর রাফি(৫), রাহিমা(৫৫), ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা নাছিরনগর উপজেলা রসূলপুর গ্রামের রাসেলসহ (২৫) আরোও ৫ জন। তাদেও নামেও পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মাইক্রোবাস যাত্রী আহত সামছুল হুদা জানান, তিনি চান্দিনা বাস স্টেশন থেকে কুমিল্লা ক্যান্টেনমেন্ট যাওয়ার উদ্দেশ্যে মাইক্রোবাসে উঠেন। ওই মাইক্রোবাসে কলেজ ছাত্রীসহ আরো অন্তত ১০ জন যাত্রী ছিল। গোবিন্দুপুর স্টেশনে পৌঁছার পর যাত্রী নামানোর জন্য গাড়িটি থামলে ফিছনের একটি মাইক্রোবাস ওভারটেকিং করছিল। এ সময় পিছন থেকে ছুটে আসা দ্রুতগামী বালুবাহী ট্রাক দুইটি মাইক্রোবাসকে পিছন থেকে ধাক্কা দিলে এ ঘটনা ঘটে।
হাইওয়ে পুলিশ ময়নামতি থানা উপ-পরির্দশক (এসআই) হারাধন চন্দ্র দাস জানান, একটি মাইক্রোবাস চান্দিনা থেকে ক্যান্টনমেন্ট যাচ্ছিল, অপরটি বিদেশি যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে মনোহরগঞ্জ যাচ্ছিল। মাইক্রোবাসের যাত্রী নামানোর সময় পিছন থেকে ট্রাক ধাক্কা দিলে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে লাবল আক্তার নিহত হয়। বাকিদের কুমিল্লা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর পপি আক্তারও মুনমুন মারা যায়। মাইক্রোবাসগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি।