Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে আবেগ নিয়ন্ত্রণ জরুরি’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০১৮, ০৪:১৪ PM
আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৮, ০৪:১৮ PM

bdmorning Image Preview


বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে তরুণদের অবদান অনস্বীকার্য উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, `বিশ্ব এখন তরুণদের। পরিবর্তনশীল বিশ্বে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অবশ্যই ভাবতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত ঘুম, ব্যায়াম, মানসিক চাপ মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জন, আবেগ নিয়ন্ত্রণ জরুরি।'

আজ বুধবার ‘পরিবর্তনশীল বিশ্বে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস- ২০১৮ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মানসিক স্বাস্থের জন্য শারীরিক ব্যায়াম খুবই প্রয়োজন উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন,  `তরুণ প্রজন্মকে শারীরিক ব্যায়ামের প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খেলাধুলা, বন্ধুদের সঙ্গে একসাথে বসে গল্প করা, সঙ্গীত শ্রবণের প্রয়োজন রয়েছে। তরুণ প্রজন্ম এখন আর তার পাশের লোকটির সাথে কথা না বলে মোবাইলেই সময় ব্যয় করে এ অবস্থার পরিবর্তন হওয়া জরুরি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, ‘পরিবর্তনশীল বিশ্বে কিশোর-কিশোরী, তরুণ, বয়স্ক সকলেই কমবেশি প্রভাবিত হচ্ছে। এর মধ্যে তরুণরা সবচাইতে বেশি প্রভাবিত হচ্ছে। যেকোনো পরিবর্তনই হতে হবে মানুষের কল্যাণের জন্যে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে সুকুমারবৃত্তির বিকাশ ও প্রকৃত কল্যাণ হবে না। ’

মনোরোগবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম এম এ সালাউদ্দীন কাউসার বিপ্লবের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মনোরোগবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ডা. ঝুনু শামসুন নাহার, অধ্যাপক এম এস আই মল্লিক।

মনোরোগবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম এম এ সালাউদ্দীন কাউসার বিপ্লব বলেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগ থেকে বিশ্বের সর্বশেষ প্রযুক্তির প্রয়োগ, সর্বাধুনিক চিকিৎসাসেবা প্রদান এবং গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

অধ্যাপক এম এস আই মল্লিক বলেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সেবা প্রাপ্তির বিষয়গুলো জানাতে হবে। সিজোফ্রেনিয়া রোগী কখনো ভালো হয় না এটা ঠিক না। এই ভ্রান্ত ধারণা ভাঙতে হবে।’

অধ্যাপক ডা. ঝুনু শামসুন নাহার বলেন, ‘প্রযুক্তির কল্যাণে এখন তরুণরা অনেককিছুই জানে। প্রযুক্তির ভালো বিষয়গুলো নিতে হবে এবং খারাপ বিষয়গুলো বর্জন করতে হবে।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো জানানো হয়, বিশ্বব্যাপী অসুস্থতা ও ডিজএ্যাবালিটির অন্যতম প্রধান কারণ বিষণ্ণতা। ১০-১৯ বছর বয়সীদের অসুস্থতার শতকরা ১৬ ভাগ মানসিক কারণজনিত। ১৫-১৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ আত্মহত্যা। মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানসিক রোগের প্রতিকার হোক বর্তমান প্রজন্মের অঙ্গীকার।

উল্লেখ্য, দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের উদ্যোগে র‌্যালি , সেমিনার, নাটক প্রদর্শনী, কুইজ প্রতিযোগিতা, ক্রেস্ট প্রদানসহ বর্ণাঢ্য নানা আয়োজন করা হয়।

Bootstrap Image Preview