সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় ভাবির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ হারিয়েছেন মাসুদ রানা নামের এক দেবর। আহত মাসুদ রানাকে গোপনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গত শনিবার (৬ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মাসুদ রানা দেবহাটা উপজেলার বেজোরাটি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৫ বছর আগে বেজোরাটি গ্রামের আব্দুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় নাজমার। তাদের দেড় বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর আব্দুর রহমানের চাচাতো ভাই মাসুদ রানার সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয় নাজমা। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নাজমা খাতুনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে মাসুদ রানা। কিন্তু তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়না সে।
পরবর্তীতে শনিবার বিকেলে বাবার বাড়ি দেবহাটার চন্ডিপুর গ্রামে চলে যান নাজমা। রাত ১০টার দিকে মোবাইলে ভাবির সঙ্গে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেন মাসুদ রানা। এ সময় ভাবিও তাকে রাতে বাসায় আসতে বলেন। ওইদিন গভীর রাতে বাসায় গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়তে চাইলে দেবরের পুরুষাঙ্গ কেটে নেন ভাবি।
দেবরের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে গুরুতর অবস্থায় রাতেই তাকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা বাজারের শেরে বাংলা ক্লিনিকে ভর্তি করে। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মাসুদ রানা।
কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা বাজারের শেরে বাংলা ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক সাইদুল ইসলাম সাইদ বলেন, শনিবার রাতে মাসুদ রানাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ক্লিনিকে আনা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাসুদ রানার বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, পূর্ব-শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলের এমন ক্ষতি করা হয়েছে।
দেবহাটা থানা পুলিশের ওসি সৈয়দ আব্দুল মান্নান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু এ নিয়ে কোনো পক্ষই আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়নি।