Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

তাড়াশে প্রতিবন্ধী নারী রোকসানা হত্যা মামলায় আটক ২

নারী ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:৪৯ PM
আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:৪৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আলোচিত শারীরিক প্রতিবন্ধী রোকসানা খাতুন (২২) হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।এ ঘটনায় জড়িত মূল পরিকল্পনাকারী নিহতের দুই চাচাকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম তারেক রহমান শহরের চকশিয়ালকোলে অবস্থিত নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।

আটককৃতরা হলেন, তাড়াশ উপজেলার দিঘুরিয়া দিয়ারপাড়ার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে আব্দুল আজিজ (৩৮) ও তার মামাতো ভাই আলী আকবর (৫৮)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম তারেক রহমান আরও জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নিহতের আপন চাচা আব্দুল আজিজের সঙ্গে প্রতিবেশী আব্দুল করিম ও তার বোন জামাই আতাই মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ মামলা ও বিরোধ চলে আসছিল।

প্রতিপক্ষকে মামলায় ফাঁসানোর জন্য প্রতিবন্ধী ভাতিজি রোকসানাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তার চাচা আব্দুল আজিজ। আর এ কাজে তিনি একটি ডাবল মার্ডার মামলার আসামি তার মামাতো ভাই আকবর আলীর সহযোগিতা নেন। সিদ্ধান্ত হয় ভাড়াটে খুনি দিয়ে রোকসানাকে হত্যা করে নিজেরা মামলার বাদী হয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর।

গত ১৪ই সেপ্টেম্বর সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভীর রাতে নিজ ঘরের মধ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় রোকসানাকে।

তিনি আরও জানান, মামলার তদন্তে এ বিষয়গুলো উঠে আসায় ৬ই অক্টোবর আব্দুল আজিজকে এবং তার দেয়া তথ্যমতে ৭ই অক্টোবর রাতে আলী আকবরকে আটক করা হয়। ইতিমধ্যে আব্দুল আজিজ ঘটনার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে নিজের দোষ স্বীকার করেছে।

আর আলী আকবরও আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বলেছে, ডাবল মার্ডার মামলার বাদী ও তার স্বজনদের ঘায়েল করার জন্য সে এ হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলো।

তবে হত্যাকাণ্ডের পর থানা পুলিশ নিহতের ভাই রেজাউলকে বাদী করে মামলাটি দায়ের করানোয় হত্যার পরিকল্পনাকারীরা তাদের মিশন সফল করতে পারেনি।

এদিকে, কিলিং মিশনে অংশ নেয়া ৪ ভাড়াটে খুনির পরিচয় শনাক্ত করতে পারলেও তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি এই কর্মকর্তা।

Bootstrap Image Preview