অবশেষে ফরিদপুরের সেই পথশিশু মনিরের (১২) চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
থেমে যেতে চায় জীবন, তবুও পথশিশু মনির বাঁচতে চায় এই শিরোনামে মনিরকে নিয়ে গত মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) একাধিক অনলাইন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে সংবাদটি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নজরে আসলে তারা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে এসে পথশিশু মনিরকে দেখে তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নেন।
পিতামাতাহীন মনির বড় হয়েছে রাজবাড়ীর রেলওয়ে বস্তিতে। খুব ছোট বয়সে সে তার বাবাকে হারায়,পরে মা অন্যত্র বিয়ে করে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাস্তার পাঁশ দিয়ে চলার সময় বেপরোয়া একটি বাস তাকে ধাক্কা দিয়ে পিসে দেয়। এই ঘটনায় আহত হয় আরো তিনজন। কিন্তু অন্যান্যদের আত্মীয় পরিজন থাকায় তারা ইতোমধ্যে সেবা নিয়ে ঘরে ফিরে গেলেও মনির পড়ে ছিল হসপিটালেই।
দুর্ঘটনার পর তাকে রাজবাড়ি সদর হসপিটালে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন, রাজবাড়ির রবিউল ইসলাম নামে এক সংবাদকর্মী। ইতোমধ্যে তার পায়ে ইনফেকশন হয়েছে এবং চিকিৎসক জানায় পা অপারেশন না করলে সে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে।
কিন্তু হাজার অনুরোধেও কেউ তার পাশে এগিয়ে আসেনি। পরবর্তীতে একাধিক অনলাইন সংবাদমাধ্যমে মনিরকে নিয়ে সংবাদ পকাশ করলে বিষয়টি নজরে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সহ সভাপতি শেখ স্বাধীন মোঃ শাহেদ।
যিনি ইতোমধ্যে ফরিদপুরে প্রতিষ্ঠিত জয় বাংলা মন্দির নিয়ে সর্ব মহলে প্রশংসা অর্জন করেন। তিনি তাৎক্ষণিক উক্ত পোর্টালের সাংবাদিকের সাথে যোগাযোগ করে মনিরের চিকিৎসার নিশ্চয়তা প্রদান করেন ।
শেখ স্বাধীন মোঃ শাহেদ জানান, ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর অনুমিতক্রমে মনিরের অপারেশন থেকে শুরু করে যাবতীয় খরচ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বহন করবে বলে ডাক্তারগণকে যত দ্রুত সম্ভব অপারেশনের অনুরোধ জানাই। তার এই কাজে সহযোগিতা করেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য নাইম হোসেন মেরিন এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ প্রসঙ্গে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ খবিরুল ইসলাম খবির বলেন, ছাত্রলীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ফমেক ছাত্রলীগের ছেলেদের সাথে আমার কথা হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে ছাত্রলীগ একটা ভাল উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি তারা ওই পথ শিশুটাকে স্কুলে ভর্তি করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, আমরা ছাত্রলীগ যেখানেই মানবতা ভূলুণ্ঠিত হবে সেখানেই আলোর মশাল হাতে নিয়ে থাকব। ছাত্রলীগ হবে যেকোন ভাল কাজের ব্র্যান্ড এম্বাসেডার।