কাজ করতে হলে চাঁদার টাকা দিতে হবে। আর টাকা না দিলে কাজ করতে দেওয়া হবে না। তাই রাস্তার তৈরির জন্য নিয়ে আসা পিচ ও পাথরের খোয়া ট্রাক বোঝাই করে নিয়ে চলে গেলেন ঠিকাদার আসাদুজ্জামান আসাদ।
ঠিকাদার আসাদুজ্জামান আসাদের সহকারী রাহুল জানান, শিশুতলা বাজারের পাশে আখ সেন্টারের জায়গাতে মালামাল রেখে ফতেপুর বাজার থেকে সাড়াতলা রাস্তার আড়াই কিলোমিটারের পিচ করণের কাজ করা হয়।
পরে ওখান থেকেই খর্দ্দখালিশপুর গ্রামের ভিতরের রাস্তার কাজ করার কথা। কিন্তু খর্দ্দ খালিশপুর গ্রামের ইউপি সদস্য লাবলু মেম্বারসহ কয়েক জন বলেছেন, আমাদের টাকা না দিলে কাজ করতে দেব না। সে কারণেই আমরা আমাদের মালামাল অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ইতি পূর্বে রাস্তার কাজ করতে এসে লাবলু মেম্বারকে চাঁদা না দেওয়ার কারণে আমাদের ম্যানেজার সামাউল ইসলামকে মারপিট করেছিল। সে সময় লাবলু মেম্বারের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগও করা হয়েছিল।
রাস্তার কাজের ঠিকাদার ঝিনাইদহের আসাদ্জ্জুামান আসাদ জানান, খর্দ্দখালিশপুর গ্রামের রাস্তায় কাজ করতে হলে চাঁদা দিতে হবে। না হলে ইউপি সদস্য লাভলু মিয়ারা কাজ করতে দেবে না। আর সে কারণেই আমি আমার নিয়ে আসা মালামাল ফেরৎ নিয়ে যাচ্ছি।
ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য লাভলু মেম্বার টাকা চাওয়ার ও কাজ বন্ধ করার ঘটনাটি অস্বীকার করে জানান, ফতেপুর এলাকায় রাস্তার কাজের জন্য মালামাল রেখে ৬ কিলোমিটার দূরে খর্দ্দখালিশপুর গ্রামের কাজ কি ভাবে করবেন। তাই গ্রামে লোকজন এখানে মালামাল নিয়ে এসে কাজ করতে বলেছে। আমি বা গ্রামের কোন লোক ঠিকাদার আসাদের কাছে কোন টাকা চাইনি।
তবে বীরশেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ভাইপো'রা খর্দ্দখালিশপুরে রাস্তার কাজ নিয়ে ঠিকাদারের সাথে বাক বিতন্ডা হয়।