দুষ্টকে দমনের জন্য ডিজিটাল আইন : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি করা হয়েছে গুজব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দুষ্টকে দমনের জন্য, শিষ্টকে পালনের জন্য।

সোমবার ( ৮ অক্টোবর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্র শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।

ডিজিটাল ক্রাইম এর জন্য কি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন থাকবে না? আপনারা দেখেছেন সড়ক আন্দোলনের নামে কী ভয়াবহ গুজব ছড়ানো হয়েছে। এসব গুজব বন্ধ করতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।

শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা শ্রমিক বান্ধব সরকার। পরিবহন আইনটি সবে মাত্র হয়েছে। তবে বিধি প্রণয়ন করে আপনাদের দাবি গুলোর কথা মাথায় রেখে সমাধান করার চেষ্টা করব।

আওয়ামী লীগের ভুল স্বীকার করার সাহস আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এমন এক রাষ্ট্রনায়ক যাঁর ভুল ত্রুটি সংশোধনের সৎ সাহস আছে। চাঁদেরও কলঙ্ক আছে।

খালেদা জিয়া ২১ শে আগস্ট শেখ হাসিনা কে মারতে চেয়েছিলেন। তারপরও খালেদা জিয়ার পুত্র মারা গেলে শেখ হাসিনা তাকে সান্তনা দিতে গিয়েছিলেন। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের যে আচ্ছন্নতা এবং আবিষ্টতা আছে, তা বিএনপির নেই।

জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া নেতাদের সঙ্গে নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে একমত হয়েছে বিএনপি; সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পানি ও তেল একসাথে মেশে না। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতার পরিবর্তন হবে না। যতই আন্দোলনের কথা বলেন কোনো কাজ হবে না। যারা ১০ বছরে ১০ দিনও আন্দোলন করতে পারে না তারা আর আন্দোলন করতে পারবেও না। এখন ২০২০ সালে তারা আন্দোলনের চিন্তা ভাবনা করতে পারেন।

আওয়ামী লীগের শিল্প বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, শিল্প বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, সদস্যসচিব ও আওয়ামী লীগের শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্রমুখ।