মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে দেয়ায় দিশারী বিশ্বাস মিম নামে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।
নিহত দিশারী ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলী টুলুর মেয়ে এবং স্থানীয় কালিয়াকৈর খান উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সোমবার দুপুরে উপজেলার ছোট কালিয়াকৈর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে দুই ভাই এক বোনের মধ্যে দিশারীই ছিল পরিবারের সবার বড় সন্তান। একমাত্র কন্যা সন্তানকে হারিয়ে পাগলপ্রায় তার বাবা-মা। তারা এ ঘটনায় দায়ী আলাউদ্দিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
দিশারীর মামা মিজানুর রহমান জানান, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নালরা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে কলেজছাত্র আলাউদ্দিন ভুয়া ইমো আইডির মাধ্যমে তার ভাগ্নির সঙ্গে প্রথমে যোগাযোগ করতো। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সময় ইমোর মাধ্যমে তারা কিছু ছবিও আদান-প্রদান করে। কিছুদিন যাওয়ার পর দিশারী ছেলেটির আসল পরিচয় জানলে যোগাযোগ কমিয়ে দেয়। কিন্তু আলাউদ্দিন দিশারীকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকে। এতে রাজি না হওয়ায় নানাভাবে দিশারীকে ব্লাকমেইল ও হুমকি দিয়ে আসছিল আলাউদ্দিন। এ ঘটনা আলাউদ্দিনের স্বজনদেরও একাধিকবার জানানো হয়েছে। মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে আলাউদ্দিনকেও। কিন্তু এতেও ক্ষান্ত হয়নি সে। রবিবার আলাউদ্দিন তার ফেসবুক আইডি অলেখা কাব্যতে দিশারীর কয়েকটি আপত্তিকর ছবি পোস্ট করে। যা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মান-সম্মানের ভয়ে সোমবার দুপুরে নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে দিশারী। খবর পেয়ে সিংগাইর থানা পুলিশ দিশারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ করে পালিয়ে গেছে আলাউদ্দিন।
সিংগাইর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান জানান, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।