বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, খালেদা জিয়া গেঁটেবাতজনিত সমস্যায় ভুগছেন। তাঁর ডায়াবেটিসসহ বেশ কিছু রোগ অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় আছে। এসব রোগ নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এরপর তাঁর মূল চিকিৎসা শুরু হবে।
সোমবার দুপুরে (৮ অক্টোবর) খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের ৪ সদস্য তাকে দেখতে যান। পরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন মেডিকেল বোর্ডের চারজন সদস্য।
বোর্ডের একজন সদস্য আব্দুল জলিল চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তিনি ব্যথাজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন। খালেদা জিয়া রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস (গিঁটে গিঁটে ব্যথা বা বাত) রোগে আক্রান্ত। ওনার বাঁ হাত বাঁকা হয়ে গেছে, হাত তুলতে পারছেন না। এ ছাড়া ঘাড়ে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, বাঁ উরুর জয়েন্টে ব্যথা ও বাঁ হাঁটু ফুলে গেছে। তার (খালেদা) উচ্চ মাত্রার ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে নেই। তার সুষ্ঠু চিকিৎসায় যে উচ্চমাত্রার ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে, তা করার আগে হার্ট, কিডনি, লাঞ্চসহ বেশ কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। কোনো ধরনের ইনফেকশন আছে কি না, তা জানতে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েই প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রয়োগ করে চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
এদিকে গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক বোর্ডের প্রতিনিধি হিসেবে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন।
সৈয়দ আতিকুল হক আজ সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়ার সমস্যাটা মূলত গেঁটেবাতজনিত। আজ রাতেও মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে।
ব্রিফিংয়ে মেডিকেল বোর্ড জানায়, খালেদা জিয়ার কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা আছে। এর বেশির ভাগই বহু আগে থেকেই ছিল। তারা কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়েছেন। রিপোর্ট পেলে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। শনিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে বিএসএমএমইউতে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে।