Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ফরিদপুর মহাসড়ক নির্মাণকাজে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মানববন্ধন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:২৩ PM
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:২৩ PM

bdmorning Image Preview


ফরিদপুর প্রতিনিধি:

সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে ফরিদপুর-মুকসুদপুর মহাসড়ক নির্মাণকাজে ক্ষতিগ্রস্ত জমিহারা কৃষকেরা তাদের ক্ষয়ক্ষতি পুরণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে।

সোমবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে প্রায় শতাধিক কৃষক এই মানববন্ধনে অংশ নেয়। ক্ষতিগ্রস্ত এসব কৃষকের সকলেই ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা গ্রামের বাসিন্দা। ফসলী জমি ও ঘরবাড়ি হারিয়ে তাদের পরিবারে আহাজারি চলছে।

মানববন্ধনে অংশ নেয়া দেলোয়ার হোসেন জানান, অধিগ্রহণ না করেই তার ৩০ শতক জমি রাস্তার মধ্যে চলে গেছে। আরো ১৫ শতক জমির মাটি কেটে সড়কে ব্যবহার করা হয়েছে। জমিতে যেসব গাছপালা ও ফসল ছিল সেগুলোও আমাদের নিতে দেয়নি। আমরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট ক্ষতিপুরণ দেয়া হলে তিনি শুধু আমাদের আশ্বস্তই করে যাচ্ছেন।

তিনি জানান, অধিগ্রহণ না করে এভাবে জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করার প্রতিবাদ করায় আমার ওপর সন্ত্রাসী হামলাও চালানো হয়। চারদিন মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। নিজের টাকা খরচ করে চিকিৎসা করেছি। এখন উপার্জনের সম্বল হারিয়ে দিশেহারা আমরা। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক নিকটও দরখাস্ত দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নিকটেও আবেদন করেছি। কিন্তু ক্ষতিপুরণের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

হায়দার আলী শিকদার নামে এক কৃষক বলেন, তার বাঁশ বাগান কেটে ৪০ শতক জমির পুরোটাই রাস্তায় নিয়ে গেছে। কোন ক্ষতিপুরণ দেয়নি।

মোহাম্মদ নামে একজন কৃষক জানান, তার মৃত পিতার কবরের উপর দিয়ে রাস্তা করেছে। মেশিন দিয়ে ভিটের বসতঘর ভেঙে ফেলেছে। একইভাবে দুই শতাধিক কৃষকের জমি অধিগ্রহণ না করেই দখল করেছে সড়ক বিভাগ। কারো জমির উপড়ে রাস্তা বানিয়েছে, কারো ফসলি জমির মাটি নিয়ে খাদ করে রেখেছে। মূল্যবান গাছপালাও কেটে নিয়ে গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২৪ ফুট বিস্তৃত সড়কটি আগে এলজিইডির অধীনে ছিল। সড়ক বিভাগ রাস্তাটিকে ৩০ ফুট চওড়া করে সংস্কার করছে। এ সময় ক্ষেতে পেয়াজসহ নানা ফসল ছিল। সেই পেয়াজ বোনা অবস্থাতেই ফসলী জমির মাটি কেটে সড়কের কাজ করা হয়। কয়েকজন কৃষকের অভিযোগের ভিত্তিতে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশ্বের হোসেন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহায়তায় বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পান। এবং ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপুরণ দেয়ার অনুরোধ জানান। তবে তারা এখনো ক্ষতিপুরণ পাননি।

এ ব্যাপারে ফরিদপুরের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, সম্প্রসারিত সড়কের জমি অধিগ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। সেই মোতাবেক প্রকল্প অনুযায়ী কাজ হয়েছে। এলজিইডির রাস্তায় অনেক আগেই যাদের জমি সড়কের মধ্যে চলে গেছে তাদেরতো ক্ষতিপুরণ দেয়া সম্ভব না।

ক্ষতিপুরণের ব্যাপারে তিনি জানান, নতুন করে যাদের সড়ক অধিগ্রহণ হয়েছে তাদের একটি তালিকা করা হয়েছে সালথা উপজেলা কর্মকর্তার মাধ্যমে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের মাধ্যমে তাদের ক্ষতিপুরণও দেয়া হয়ে গেছে আমার জানামতে।

Bootstrap Image Preview