Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রামগতিতে জরাজীর্ণ ব্রিজে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:৩৪ PM
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:৩৪ PM

bdmorning Image Preview


ব্রিজ থাকলেও নেই দুপাশের রাস্তা। ব্রিজটিও জরাজীর্ন। মরিচা ধরে স্টিলের সীটগুলো গর্ত হয়ে রয়েছে। যা চলাচলের অনুপোযোগী। এতে যেকোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। তবুও ব্রিজে ঝুঁকি নিয়েই পারাপার করতে হয় হাজার হাজার গ্রামবাসীকে। কারণ এই ব্রিজটি দুই উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। যোগাযোগে বিঘœ ঘটায় এ অঞ্চলের মানুষগুলো অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এজন্য দ্রুত ব্রিজটি সংস্কার করা হলে তাদের অর্থনৈতিক সমস্যা দূর হবে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

ব্রিজটি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের চৌধুরী বাজার এলাকায় অবস্থিত। এর দুপাশে দুটি উপজেলা। একপাশে রামগতি অপর পাশে নোয়াখালীর সুবর্ণচর। ব্রিজটি এই দুই উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। রামগতি উপজেলার কৃষকরা সুবর্ণচর গিয়ে চাষাবাদ করে থাকেন। আবার সুবর্ণচরের শিক্ষার্থীরা রামগতির উত্তর চরআফজল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে এসে পড়ালেখা করতে হয়। আর চলাচলের জন্য এই ব্রিজটিই তাদের একমাত্র ভরসা।

জানা গেছে, উপজেলার চৌধুরী বাজার এলাকায় ভুলুয়া নদীর ওপর নির্মিত স্টিলের ব্রিজটির দুপাশে মাটির রাস্তা ভেঙে গেছে। ব্রিজে উঠার জন্য একপাশে একটি কাঠের সাঁকো থাকলেও অন্যপাশ নেই। ওই পাশ দিয়ে কষ্ট করে উঠতে নামতে হয়। ব্রীজের স্টিলের সীটগুলোও মরিচা ধরে গর্ত হয়ে গেছে। এতে গর্তে পা পড়ে অনেককেই আহত হতে হয়েছে। গত ৬-৭ বছর ধরে ব্রিজটি এ পরিস্থিতিতে রয়েছে। এটি সংস্কার কিংবা নতুন করে রামগতি-সুবর্ণচরের যোগাযোগের জন্য কোন ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে না। এতে ঝুঁকি নিয়েই দুগ্রামের বাসিন্দাদের চলাচল করতে হয়।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভুলুয়া নদীর ওপর এই ব্রিজটি রামগতি ও সুবর্ণচরের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হওয়ায় যাতায়াতের জন্য খুবই গুরুত্ব বহন করে। কিন্তু গাড়ি চলাচল অনুপোযোগী হওয়ায় তাদের প্রচুর কষ্ট করতে হয়। চলাচলে বিঘ্ন ঘটার কারণে ওই দুই অঞ্চলের জনগণ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এজন্য দ্রুত এটি সংস্কার কিংবা নতুন ব্রিজ নির্মাণ অত্যন্ত জরুরী। 

রামগতি উপজেলার চররমিজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার বলেন, ব্রীজটি সংস্কারের জন্য টেন্ডার হয়ে গেছে। আশা করি খুব দ্রুত ব্রিজটি পাকাকরণের কাজ শুরু হবে। আপাতত ব্রিজটি ব্যবহার করার জন্য দুপাশের এক পাশে কাঠের সাঁকো আর অন্যপাশে মাটি ভরাট করে দেওয়া হয়েছে।

 

Bootstrap Image Preview