চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নিজের বিয়েতে এক কাণ্ডর ঘটিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিচারকের কাঠগড়ায় দাঁড়ালেন সেই চিংড়ি জামাই। তবে এবার বিচারক সেই জামাইর প্রতি সদয় হয়েছেন। আগেরবারের দুই বিচারকের দেয়া ৩ লাখ টাকা দণ্ডাদেশ থেকে ১ লাখ টাকা মওকুফ করে দুই লাখ করার দিল সিদ্ধান্ত এবারের বিচারক। তাও নগদে নয়, বাকির খাতায় লিখে নতুন বউকে ঘরে তোলার সুযোগ করে দিয়েছেন।
ভাগ্যেন লিখন বলে কন্যাকে সেই জামাতার হাতে তুলে দিতে রাজি হয়েছেন কন্যার পিতা মোহাম্মদ হোসেন।
জুঁইদন্ডী গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদুল রহমাম চৌধুরী খোকা বলেন, রবিবার সন্ধ্যার পর সালিশি বৈঠকে বর ও কনেপক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে প্রথম সালিশি বৈঠকে দেয়া নগদ ৩ লাখ টাকার দণ্ডাদেশ মওকুপ করে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সোমবারই বউ তুলে নিয়ে যাবে। তাতে আর বাধা নেই। কনেপক্ষও আর আপত্তি জানাবে না।
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিয়ের প্রীতিভোজের খাবারের মেন্যুতে চিংড়িমাছ না পাওয়ায় চিংড়ি কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন বর। আর সেসময় নিজের কন্যাকে এমন বরের কাছে দিবেন না বলে বেঁকে বসেন শ্বশুর মশাই।
এরপর ১ অক্টোবর আনোয়ারা উপজেলার বরুমছড়া ইউনিয়ন পরিষদ ও বটতলী ইউনিয়ন পরিষদের দুই চেয়ারম্যান এক সালিশি বৈঠকে বরের উচ্ছৃঙ্খল আচরণে কারণে ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ঘোষণা করেন। আর সেই দণ্ডের অর্থ পরিশোধ করে গত শুক্রবার বউ ঘরে তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। কিন্তু বর ও তার স্বজনরা সেদিন রায় মেনে নিলেও দণ্ডের ৩ লাখ টাকা পরিশোধে আপত্তি করে বউ ঘরে তুলে নেয়নি সে শুক্রবার। এরপর রবিবার রাতে সেই জুঁইদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বসে দ্বিতীয় সালিশি বৈঠক।
আনোয়ার ১১ নং জুঁইদন্ডী ইউনিয় পরিষদের ৮নং খুরুসকুল গ্রামের আবদুল মোনাফের প্রবাসিপুত্র মোহাম্মদ আলমগীর (৩০) সাথে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের কন্যার। পরে দুই পরিবারের আলোচনার ভিত্তিতে ২৭ সেপ্টম্বর বটতলী বাজারের আলভী ম্যারেজ গার্ডেনে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়। সেখানে গরুর গোস্ত, কোরমা, মুরগীর রোস্টসহ নানা উপদেয় আইটেম দেয়া হয়। কিন্তু চিংড়ি মাছ না পেয়ে চিংড়ি কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন বর। আর এতে আকাশ ভেঙে পড়ে কনে পক্ষের মাথায়।