জাতীয় লিগে দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা চলছে। প্রথম দিনে রাজশাহীর বোলিং তোপে মাত্র ১৫১ রানেই গুটিয়ে গেছে রংপুর ডিভিশন।এদিন রংপুরের হয়ে নাইম ইসলামের অর্ধশতক ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যানই বলার মতো রান তুলতে পারেনিন।
ইনজুরিতে পড়েছে জাতীয় দলের পঞ্চ পান্ডব। তাদের ছাড়াই ১ অক্টোবর থেকে মাঠে গড়িয়েছে জাতীয় লিগের ২০তম আসর। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের রিপ্লেমেন্টের জন্য এই আসরেই বাড়তি নজর রেখেছে বিসিবির নির্বাচক কমিটি। এমন সময় নিজের ব্যাটিং দিয়ে জাতীয় দলে নির্বাচকদের দড়জায় কড়া নাড়ছেন নাইম ইসলাম।
সোমবার রাজশাহী টসে জিতে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রন জানায় রংপুরকে। শুরুতেই ৩৬ রানের মাথায় রঙপুর দুই উইকেট তুলে নিয়ে চাপে ফেলে দেয় রাজশাহি। এমন সময় দলকে একাই টেনে তোলার চেষ্টা করেছেন নাইম ইসলাম। কিন্তু তাকে কেউ যেগ্য সঙ্গত দিতে পারেন।
দলীয় ৫৯ রানের মধ্যেই হারিয়ে বসে ৬টি উইকেট। যেখানে লিটন ১৭, মাহমুদুল ১৮ আর আরিফুল হক ফেরেন মাত্র ৫ রানে। ০ রানে ধীমান ঘোষের বিদোয়ে ক্রিজে আসা সরোয়ারদি শুভকে নিয়ে ১৪ রানে ব্যাট করা নাইম দলকে কিছুটা টেনে তোলেন।
নাইম ও শুভ গড়ে তোলেন ৫৮ রানের জুটি। দলীয় ১১৭ রানে শুভ ব্যাক্তিগত ২৯ রানে ফিরলেও ক্রিজে থেকে যান নাইম। এ সময় নাইম ব্যাট করছিলেন ১৬ রানে। শুভর বিদায়ের পর তিনি দ্রুত রান তুলতে শুরু করেন। কিন্তু তাকে কেউই যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেনি।
রংপুরের ইনিংসের শেষ উইকেট হিসেব ১৪২ বল থেকে ৬০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন নাইম। তার ইনিংসটি ৮টি চার ও ১টি ছয়ের মারে সাজানো ছিল।এর আগে জাতীয় লিগে প্রথম রাউন্ডে বরিশাল ডিভিশনের বিপক্ষে দুই ইনিংসে ৯২ ও অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
রাজশাহীর হয়ে ফরহাদ রেজা ও মোহর শেখ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া শফিকুল ২টি ও ১টি করে উইকেট নেন তাইজুল ও সানজামূল ইসলাম।