হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন শুভ মহালয়া আজ সোমবার (৮ অক্টোবর)। এদিন থেকেই শুরু দেবীপক্ষের। পুরানমতে এদিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে।
মহালয়ার মাধ্যমে দেবী দুর্গা আজ পা রাখবেন মর্ত্যলোকে। অশুভ অসুর শক্তির কাছে পরাভূত দেবতারা স্বর্গলোকচ্যুত হওয়ার পর চারদিকে শুরু হয় অশুভ শক্তির পরাক্রম। এই অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে একত্র হন দেবতারা। তখন দেবতাদের তেজরশ্মি থেকে আবির্ভূত হন অসুরবিনাশী দেবী দুর্গা।
আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে দুর্গা পূজা শুরু হলেও মূলত মহালয়া থেকেই দুর্গা পূজার আগমনধ্বনি শোনা যায়। দুর্গা পূজার সূচনার দিনটি সারাদেশে বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে উদযাপিত হবে। সোমবার ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি। দেশের অন্যান্য মন্দিরেও এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে । অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করবেন।
সনাতন সমাজ কল্যাণ সংঘ ভোর ৫টায় কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ, কৃষি খামার সড়কে মহালয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। দেবী দুর্গার আগমনী উপলক্ষে দিনটি উদযাপন করতে বনানী মাঠে দেবীবরণের আয়োজন করেছে গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা পরিষদ।
মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দূর্গা সব অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস । পুরাণ মতে, মহালয়ার দিনে, দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোনও মানুষ বা দেবতা কখনও মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতারিত করে এবং বিশ্ব বহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চায়।
মহালয়ার আর একটি দিক হচ্ছে এই মহালয়া তিথিতে যারা পিতৃ-মাতৃহীন তারা তাদের পূর্বপূরুষের স্মরণ করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে অঞ্জলি প্রদান করেন। সনাতন ধর্ম অনুসারে এই দিনে প্রয়াত আত্মাদের মর্তে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আত্মার যে সমাবেশ হয় তাকে মহালয়া বলা হয়। পিতৃপক্ষের ও শেষদিন এটি।