Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

পুলিশের ‘ধর’ শব্দ শুনেই দৌঁড় মারে; সেই তারা আ’ লীগকে ভয় দেখায়!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:২২ PM
আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:২২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


বিএনপির সমালোচনা করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, যে দলের নেতা হুইপ জয়নাল আবেদিন ফারুক পুলিশের ‘ধর’ শব্দ শুনেই দৌঁড় মারে; সেই তারা আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখায়! আমাদের নেতা-কর্মীরা ভীরু নয়। একটি ভেসে যাওয়া দলের হুমকিতে আওয়ামী লীগের কিছু আসে যায় না।

রবিবার বিকালে মাগুরায় বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মাগুরায় শেখ কামাল ইনডোর স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি তানজেল হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় মন্ত্রী সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। পাশাপাশি আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সবাইকে ভেদাভেদ ভুলে একতাবদ্ধভাবে নিজেদের প্রস্তুত করার আহ্বান জানান।

আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচনের আসার জন্য খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়। কিন্তু সরকার তার নামে মামলাও দেয়নি, মুক্তিও দিতে পারে না। একমাত্র রাষ্ট্রপতি দিতে পারেন। কিন্তু তার আগে নিজের দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তখন সেটি বিবেচনা করতে পারেন রাষ্ট্রপতি।

বিএনপির নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে বলেই জোট বাঁধছে। তারপরও না আসলে আমরা পায়ে ধরে আনবো না। কিন্তু তারা যদি মাঠে নাও থাকে তবুও আমরা নির্বাচনকে হালকাভাবে নিতে চাই না। ইস্পাত কঠিন শক্তি নিয়েই আমরা একতাবদ্ধভাবে নির্বাচনী বৈতরণী পার হবো।

এ সময় বিএনপির উদ্দেশে এলজিআরডিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এ রকমও দুর্দিন গেছে, আজকে জেলা প্রশাসক আমাদের মঞ্চে উপস্থিত। এ রকম একটা সময় ছিল, এ রকম একটা বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে আমরা ছিলাম। যে আমরা একটা জেলা প্রশাসকের বারান্দা পর্যন্ত যাইতে পারি নাই। এখন উনারা উনাদের দুর্বলতার কারণে রাস্তার মোড়ে দাঁড়াইতে পারেন না। সেটা নিয়ে আমাদের দোষ দিচ্ছে। শক্তি সঞ্চয় করো। যদি আন্দোলন করতে চাও, আন্দোলনের শক্তি নাও। আমাদের তো অত্যাচার-অনাচার করছ, আওয়ামী লীগের লোকজনকে তো রাস্তা থেকে উঠায়া দিতে পারো নাই। আমাদের আক্রমণ করছ, আমরা রাস্তায় শুয়ে পড়ছি। তোমাদের মতো তো কাপড়-চোপড় খুইলা দৌঁড় মারি নাই। ছবি আছে। তোমাদের গ্রুপ কাপড়-চোপড় খুইলা মারল দৌঁড়।’

সারা দেশে উন্নয়ন মেলা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কালকে সারা দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়ন মেলা করছে। আপনাদের এখানে কি অবস্থা হইছে আমি জানি না। আমি ফরিদপুর আমার জেলায় উপস্থিত ছিলাম। কম করে হলেও দেড় লক্ষ লোক উপস্থিত ছিল। আমরা মেলার মাঠে জায়গা দিতে পারি নাই। সাত-আটটা দোকান ভাইঙ্গা, মিটিংয়ের পরিধি বৃদ্ধি করতে হইছে। এই সাড়া দেখে তো তারা মনে করতেছে, ভোটের দিকে না চাইয়া প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব একটা সিলভারের প্লেট নিয়ে যাবে। যাইয়া বলবে, প্রধানমন্ত্রীর অংশটা আমাদের হাতে তুইলা দাও। তুমি কি সেই সময়ে আছ? এটা কি দুনিয়ার কোনো পাগলে বলবে? তাদের দাবি হইলো এখন এই ধরনের। এখন এই ধরনের দাবি আমরা কীভাবে পূরণ করব? আমাদেরও তো দুই বছর রাস্তায় রাখছিলা তোমরা। আমরা কি তোমাদের মতো ম্যাও ম্যাও করছি? হাত-পা ধরে কান্নাকাটি করছি? আমরা কইছি অচল করে দিব বাংলাদেশ। শক্তি থাকে আসো, রাস্তায় মোকাবিলা কর। দেখি তোমাদের শক্তি কতখানি, আওয়ামী লীগের শক্তি কতখানি।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট বীরেন শিকদার, মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব)এটিএম আবদুল ওয়াহ্হাব, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুন্ডু, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, জেলা আওয়ামী লীগ সংগঠনিক সম্পাদক পৌর মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল প্রমুখ।

এর আগে সকালে মন্ত্রী প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যায়ে ১ হাজার আসন বিশিষ্ট মাগুরা জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এছাড়াও জেলা পরিষদের পক্ষে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন।

Bootstrap Image Preview