সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় উপজেলায় ব্লেড দিয়ে প্রেমিকের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন এক প্রেমিকা। বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকা রহিমা খাতুন হালিমা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে। গুরুতর অবস্থায় প্রেমিক আতিকুল ইসলামকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উপজেলার চাকসা পালপাড়া গ্রামে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী প্রেমিক আতিকুল ইসলাম উপজেলার চরপাড়া গ্রামের নুর মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে এবং পালপাড়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে রহিমা খাতুন হালিমা।
জানা যায়, হালিমার সঙ্গে আতিকুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মোবাইলে। ভালোবাসার একপর্যায়ে তাদের সম্পর্কে ভাটা পড়লেও হালিমা প্রেমিক আতিকুলকে মুঠোফোনে বিয়ের চাপ দিতে থাকে। পারিবারিক সমস্যা জানিয়ে আতিকুল বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। কিন্তু হালিমা তা মেনে নেয় না। এ ঘটনায় গত বুধবার চাকসা পালপাড়া গ্রামে ফুফা নূরাল ফকিরের বাড়িতে পালিয়ে আশ্রয় নেয় আতিকুল। বৃহস্পতিবার রাতে হালিমা জানতে পারে আতিকুল তার বাড়ির পাশে ফুফার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। সুযোগ বুঝে মুঠোফোনে আতিকুলকে বারবার দেখা করতে বলে এবং খুদে বার্তা পাঠায় হালিমা।
কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় মধ্যরাতে হালিমা আতিকুলের সঙ্গে দেখা করতে ওই বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে বিয়ের দাবি জানায় হালিমা। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় ব্লেড দিয়ে আতিকুলের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয় হালিমা। এ সময় তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন ছুটে এলে হালিমা পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় আতিকুলকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আতিকুলের বড় ভাই মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আতিকুলের অবস্থা গুরুতর। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। প্রচুর রক্তক্ষরণে অজ্ঞান হয়ে পড়েছে আতিকুল। আমার ভাইয়ের ওপর পরিকল্পিত এ হামলার ঘটনায় মামলা করব। আমার ভাই নিরপরাধী। জোর করে তাকে বিয়ে করতে না পেরে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে হালিমা ও তার পরিবারের লোকজন।
এ বিষয়ে বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। গুরুতর অবস্থায় আতিকুলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।