Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সমস্যা জর্জরিত বাউফলের ধাউরাভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

জাহিদ রিপন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ০৩:৩১ PM
আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ০৩:৩১ PM

bdmorning Image Preview


মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে প্রতি বছর শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও সুপেয় পানি, টয়েলেট, খেলার মাঠ, সীমানা প্রাচীর ও আসবাপত্রসহ নানা সমাস্যায় পটুয়াখালী বাউফলের ধাউরাভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। কক্ষ ও বেঞ্চ সংকটের কারণে  শিক্ষার্থীদের ক্লাসে গাদাগাদি করে বসতে হয়। এতে শিক্ষার্থীরা অমনোযোগী হয়ে পড়ে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও অদ্যাবধি কোন প্রতিকার মেলেনি।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বগা ইউনিয়নের বগা-মিলঘর সড়কের পাশে ধাউরাভাঙ্গা গ্রামে ১৯৩৫ সালে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় ৫৯ নং ধাউরাভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিদ্যালয়টির মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখা বৃদ্ধি পেতে থাকে। বিদ্যালয়টিতে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বর্তমান ১২০ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে। এলাকাবাসীর সহযোগীতায় ৫ রুম বিশিষ্ট একটি টিন সেডের ভবন নির্মাণ করে এর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়। বর্তমানে এ ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণার কারণে ৩টি রুমই পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ১৯৯৬ সালে সরকারিভাবে আরও ১টি ৩রুম বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়।

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী একরামুল ইসলাম ও শাহারা আক্তার জানান, তাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নেই সুপেয় পানির ব্যবস্থা। একটি টিউবয়েল থাকলেও প্রায় তা থেকে পানি ওঠে না। ফলে দূর থেকে পানি সংগ্রহ করতে গিয়ে তাদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। নেই টয়লেট। আমাদের মধ্যে কেউ স্কুলে মল ত্যাগের জন্য টয়লেটে যেতে পারে না। খেলার জন্য স্কুলে নেই কোন মাঠ। বর্ষায় শ্রেণি কক্ষের ভিতরে পানি প্রবেশ করে। বিদ্যালয়টি ব্যস্থতম সড়কের পাশে অবস্থিত হলেও দীর্ঘ ৮২ বছরে এর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়নি। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান হেলাল জানান, বর্ষায় শ্রেণি কক্ষে পানিতে স্যাত সেতে পরিবেশ তৈরি হয়। বিদ্যালয়ে কক্ষ, বেঞ্চ সংকট ও আসবাপত্রসহ নানাবিধ সমস্যার কারণে প্রতিষ্ঠানটির পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যায়ে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার একটি ভবন আসার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মতিউর রহমান জানান, জমি সংক্রান্ত জটিলতায় ভবন করার জন্য জায়গা দিতে পারিনি। তবে বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে একটি পুকুর রয়েছে। পুকুরটি ভড়াট করতে পারলে ভবনের জায়গা ও খেলার মাঠ পাওয়া যাবে।

বাউফল উপজেলা শিক্ষা অফিসার রিয়াজুল হক জানান, জমি সংক্রান্ত জটিলতায় বিদ্যালয়ের ভবন করা সম্ভব হয়নি। বিদ্যালয়ের সমস্যার কথা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেকে জানানো হলে খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।

Bootstrap Image Preview