পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ৮ম শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রীকে (১৪) চেতনা নাশক ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগে সুমন দফাদার নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার ( ৩০ সেপ্টেম্বর ) রাতে আটক করার পর সোমবার দুপুরে সুমনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আটককৃত সুমন বেতমোর গ্রামের ইউনুস দফাদারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শহরের একটি মাদরাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে মাদরাসায় যাওয়া-আসার পথে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক সুমন দফাদার প্রায়ই বিরক্ত ও কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ঘটনার দিন গত ২০শে সেপ্টেম্বর সকালে মাদরাসায় যাওয়ার পথে সুমন দফাদার তার সহযোগীদের নিয়ে মাদরাসাছাত্রীকে অপহরণ করে মোটরসাইকেলযোগে অজ্ঞাত একটি ঘরে নিয়ে যায়।
পরে সেখানে মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। মাদরাসাছাত্রী উক্ত প্রস্তাবে রাজি না হলে কোমল পানীয়ের সঙ্গে চেতনা নাশক ওষুধ খাইয়ে সুমন তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরের দিন দুপুরে সুমন মাদরাসাছাত্রীকে শহরের বাসার সামনে ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম ছরোয়ার বলেন, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।