ফেনীতে দাফনের ২ মাস পর গৃহবধূর লাশ উত্তোলন

ফেনীর পরশুরামে দাফনের দুই মাস পর ইসমত আরা (৩৬) নামে এক গৃহবধূর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ( ২ অক্টোবর ) দুপুরে আদালতের নির্দেশে চিথলিয়া গ্রামে পরশুরাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসিনা আক্তারের উপস্থিতিতে কবর থেকে গৃহবধূর লাশ উঠানো হয়। এ সময় সিআইডির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, ১৯৯৯ সালে মির্জানগর ইউনিয়নের নিজকালিকাপুর গ্রামের মৃত আসলাম মিয়ার মেয়ে ইসমত আরার সঙ্গে চিথলিয়া গ্রামের মৃত বলু মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেনের বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকে তারা চট্টগ্রাম ইপিজেড এলাকায় বসবাস করতেন। জাহাঙ্গীর ইলেক্ট্রিসিটির কাজ করত। তাদের পরিবারে ১১ বছর বয়সী এক মেয়ে ও ৭ বছর বয়সের এক ছেলে রয়েছে।

ইসমত আরার ভাই তাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন,গত ১লা আগস্ট দিনগত রাতে জানালার গ্রিলের সঙ্গে ইসমত আরার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে জাহাঙ্গীর হোসেন।

আমার মা ও ১১ বছরের ভাগনি জিনিয়া আক্তার ঘটনা দেখে ওড়না কেটে ইসমত আরার লাশ নিচে নামিয়ে আনেন। এ সময় জাহাঙ্গীর হোসেন আমার মা ও ভাগনিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেন।

২রা আগস্ট সকালে তড়িঘড়ি করে চিথলিয়া গ্রামের কবরস্থানে ইসমত আরার লাশ দাফন করে চট্টগ্রাম চলে যায় জাহাঙ্গীর।

এ ঘটনার পর ইসমত আরার ভাই তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইসমত আরাকে হত্যার অভিযোগে জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।পরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত গৃহবধূর লাশ উত্তোলন ও মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে পরশুরাম মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. খালেদ দাইয়ান জানান, আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উঠানো হয়েছে।