সারাদেশে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস আরো দুই দিন অব্যাহত থাকার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার থেকে দেশে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমে আসবে বলেও জানায় অধিদপ্তর। তারপরই শীতের আবহ শুরু হবে।
আশ্বিনের মাঝামাঝিতে রোদের এমন তীব্র প্রখরতাকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন আবহাওয়া কর্মকর্তারা। তাঁদের মতে, আগের বছরগুলোতে বর্ষাকালের শেষ সময়ে তাপমাত্রা বাড়তির দিকে ছিল। তবে এবারের তাপমাত্রা আগের বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। আবহাওয়া অফিসের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কয়েক দিন ধরে দেশের প্রায় সব জেলায় তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠছে।
স্বাভাবিকের চেয়ে ৪৩ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে সেপ্টেম্বরে। তা ছাড়া গত মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ তৈরি হলেও তা বাংলাদেশে না এসে ভারতের দিকে চলে গেছে। ফলে স্বাভাবিকের তুলনায় কম বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা বাড়ছে।
আবহাওয়া কর্মকর্তারা বলছেন, বৃষ্টি না হলে তখন স্বাভাবিকভাবেই তাপমাত্রা বাড়বে। এবারও তাই হয়েছে। বর্ষার শেষ মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আকাশ ছিল মেঘমুক্ত।
রবিবার যশোরে তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবারও দেশের প্রায় সব জেলায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠে। যদিও আগের বছর এ সময়ে তা ৩৪ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল।
এবারের আশ্বিনে তাপমাত্রা কেন এত বেশি তা নিয়ে কথা হলো বেশ কয়েকজন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞের সঙ্গে। তাঁদের মতে, জুন থেকে সেপ্টেম্বর—এই সময়কে ধরা হয় বর্ষাকাল হিসেবে। কিন্তু এবার সেপ্টেম্বরজুড়ে বৃষ্টি তেমন হয়নি।
আবহাওয়া কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘এবার বর্ষা মৌসুমটা আগেই চলে এসেছে। মার্চ থেকেই দেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে সেপ্টেম্বরে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় রোদের তীব্রতা বেড়েছে। আগামী দুই দিন তাপমাত্রা এই অবস্থায় থাকবে। তারপর থেকে কমবে।’
আবহাওয়া অফিস বলছে, ২৩ সেপ্টেম্বর রাত-দিন সমান ছিল। তার পর থেকে সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধে সরছে। দক্ষিণ গোলার্ধ যখন গরম হয়, উত্তর গোলার্ধে শীত পড়বে।