Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

`খাদ্যাভাসের কারণে দেশের ৯৭ শতাংশ মানুষ সংক্রামক রোগের ঝুঁকিতে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৩০ PM
আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৩০ PM

bdmorning Image Preview


সংক্রামক রোগ বেড়ে যাওয়ার জন্য আমাদের লাইফস্টাইল এবং খাদ্যাভাসকে প্রধান দায়ী জানিয়ে বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস সামনে রেখে ‘সুস্থ্য খাবার, সুস্থ্য জীবন’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ৯৭ শতাংশ কমপক্ষে একটি করে সংক্রামক রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে।

সোমবার(০১ অক্টোবর) সকালে রায়েরবাজারে ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিয়িংয়ে সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্সেস স্টাডিজ, ড্রিম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর যৌথ আয়োজনে এ উন্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বক্তারা বলেন, প্রায় ৬ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ পর্যাপ্ত সবজি ও ফল খেতে পারছে না এবং ১ কোটি ৭০ হাজার মানুষ কায়িক পরিশ্রমের বাইরে। দেশের জনগোষ্ঠীর বয়োজ্যেষ্ঠদের শতকরা ১৮ ভাগ উচ্চ রক্তচাপ ও ৪ শতংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। সুখী ও স্বাস্থ্যবান জীবন উপভোগ এবং অসংক্রামক রোগের প্রাদূর্ভাব হতে রক্ষা পেতে হলে অস্বাস্থ্যকর খাবার বর্জন করে স্বাস্থ্যকর প্রাকৃতিক খাবার গ্রহণ ও পর্যাপ্ত ব্যায়াম করতে হবে।

আগ্রাসী ও বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণে আকৃষ্ট করে থাকে জানিয়ে ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিয়িং এর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক দবেরা ইফরইমসন বলেন, সরকারের উচিৎ বহুজাতিক কোম্পানিকে সুবিধা না দিয়ে কৃষিখাতে পণ্য উৎপাদনের জন্য সহায়তা প্রদান করা। এর ফলে অংসক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি জনসাধারণ সু-স্বাস্থ্যের নিশ্চয়তা পাবেন এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পাবে। প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবার বর্জন করে তাজা শাক-সবজি, ফল-মূল উৎপাদন ও খাওয়ার মাধ্যমে আমরা স্থানীয় অর্থনীতিকে উন্নতি করতে পারি।

স্বাস্থ্যকর খাবারের অপর্যাপ্ত যোগান মানুষের অসুস্থ্যতার জন্য দায়ী বলে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট’র প্রকল্প কর্মকতা আতিকুর রহমান বলনে, গড় অসুস্থতা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে অনেক বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অসচেতনার কারণে মানুষ অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। সরকারের উচিৎ স্বাস্থ্যকর খাবারের পর্যাপ্ত যোগান নিশ্চিত করা।

এসময় সিএনআরএস এর কমিউনিকেশন ম্যানেজার নূর-ই-মাহবুবা বলনে, এসডিজি অর্জন করতে হলে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। আর স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা জরুরী। আমাদের নিজের ও পরিবারের স্বাস্থ্যকর খাবারের যোগান নিশ্চিত করতে হবে।

উন্মুক্ত এ আলোচনার সভাপতি ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট্র’র পরিচালক গাউস পিয়ারী বলনে, অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, শারীরিক পরশ্রিমরে অভাবরে কারণে ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং শ্বাস কষ্ট জনতি রোগে ভুগছে। এজন্য স্বাস্থ্যকর খাবাররে যোগান যেমন বাড়াতে হব, পাশাপাশি নগরে ব্যায়াম বা শিশুদের খেলাধুলার জন্য খেলার মাঠ এবং উন্মুক্ত স্থান নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশের তরুণরা অনেক উদাহরণ তৈরি করেছেন জানিয়ে ড্রিম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা রাখিল খন্দকার বলনে, আমাদের নিজেদের মাঝে সচেতনতা তৈরী করতে হবে। অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে তরুণদের এগিয়ে আসতে হব। তরুণ সমাজ এক সাথে কাজ করলে সমাজ ও দেশের উন্নতি ও পরিবর্তন সম্ভব হবে।

এসময় ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট’র প্রকল্প কর্মকতা শারমীন আক্তার রিনি এর সঞ্চালনায় সেমিনারে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

Bootstrap Image Preview