Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নৌরুটে নাব্যতা সঙ্কট কাটাতে বরাদ্দ ৪ হাজার কোটি টাকা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ অক্টোবর ২০১৮, ০৩:৪৬ PM
আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৮, ০৩:৪৬ PM

bdmorning Image Preview


নদী পথের নাব্যতা সঙ্কট কাটাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অনুমোদনের জন্য আগামীকাল প্রস্তাবটি একনেক উপস্থাপন করা হতে পারে। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২৪ সালের জুন নাগাদ বাস্তবায়ন হবে। এর দায়িত্ব পাবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ‘পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই এবং পুনর্ভবা নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার’শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে সরকার। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, প্রকল্পটির মাধ্যমে প্রায় ৪৪শ কোটি টাকায় ২২৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ১০০ মিটার প্রস্থের ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ৩ মিটার গভীর করে ক্লাস-২ নেভিগেশনাল রুটে উন্নীত করা হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যোগযোগ ব্যবস্থায় নদীপথের গুরুত্ব অনেক। কিন্তু নিয়মিত ড্রেজিংয়ের অভাবে নাব্য সঙ্কটে পড়ছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলো। তাই এ প্রকল্প নেয়া হচ্ছে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী বাহাদুরাবাদের দক্ষিণে ব্রহ্মপুত্র থেকে জামালপুর এবং ময়মনসিংহ জেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভৈরব বাজারে মেঘনা নদীতে মিশেছে। প্রায় ২৮৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ২০০ মিটার প্রস্থের এ নদীটি দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, জামালপুর সদর, ময়মনসিংহ সদর, ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল, গফরগাঁও, পাকুন্দিয়া, কাটিয়াদি, কুলিয়ারচর, এবং ভৈরব উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বর্ষাকালে এ নদীতে কার্গো ও বড় ট্রলার চলাচল করলেও শুষ্ক মৌসুমে পানির গভীরতা খুবই কম হওয়ায় এ নদী দিয়ে নৌযান চলাচল করতে পারে না। পর্যাপ্ত পানির অভাবে নদী এলাকায় কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে, মৎস্য উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে এবং পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।

পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী খননের ফলে শুধু এ নদীরই নাব্য বৃদ্ধি পাবে না; বরং শুষ্ক মৌসুমে ঝিনাই, বংশী, বানর, শীতলক্ষ্যা নদীতে পানির প্রবাহ বাড়বে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সারা বছর এ নৌপথ দিয়ে দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য সুবীর কিশোর চৌধুরী বলেন, প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধীরে ধীরে দেশের সব নদীকেই ড্রেজিংয়ের আওতায় আনা হবে। এরই অংশ হিসেবে অভ্যন্তরীণ নৌপথের গুরুত্বপূর্ণ ৪টি নদীর নাব্য কমানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview