প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করার অসামান্য কৃতিত্ব দেখিয়েও টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারছে না রবিউল ইসলাম। রবিউল বগুড়ার ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের থেউকান্দি গ্রামের দিনমজুর রহমতুল্লা সেখের ছেলে।
২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খ-ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মেধা তালিকায় ১৮তম স্থান পেয়েছে রবিউল। কিন্ত অর্থাভাবে তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে বসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির খরচ যোগাতে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও টাকার ব্যবস্থা করতে পারছে না। হতদরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া রবিউলের ভবিষ্যৎ গড়তে চরম হতাশায় পড়েছেন তার মা-বাবা।
ছোট বেলা থেকে রবিউল শিক্ষা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মেধার পরিচয় দিয়ে এসেছে। রবিউল ৫ম ও ৮ম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। এছাড়া এসএসসি পরীক্ষায় রবিউল চৌকিবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫ এবং এইচএসসি পরীক্ষায় বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ ৫ অর্জন করে অসাধারণ মেধার পরিচয় দিয়েছে।
কিন্তু দিনমজুর বাবার স্বল্প আয় দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াটা রবিউলের জীবনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েও লেখাপড়া করতে পারবেন না এমনটি কল্পনাও করতে পারছেন না রবিউল ও তার মা-বাবা।
রবিউলের বাবা রহমতুল্লা সেখ বলেন, এতদিন অনেক কষ্টে খেয়ে না খেয়ে ছেলের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে এসেছি। কিন্তু তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অর্থের অভাবে ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে এ কথা ভাবতেই পারছি না।
রবিউল ইসলাম জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিষয়ে পড়তে আগ্রহী। কিন্তু টাকার অভাবে তার স্বপ্ন আজ নিঃশেষ হতে বসেছে। সমাজের বিত্তবানদের কাছে গিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। সকলেই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। কেউ একটু সাহায্য করলে সে তার বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারতো। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাগবে। কিন্ত তার দিনমজুর বাবার পক্ষে ভর্তির টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়।