Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিএনপির জনসভায় প্রধান অতিথি কারাবন্দি খালেদা জিয়া

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০২:০৯ PM
আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০২:১৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


প্রায় এক বছর পর ২২ শর্তে খোলা মাঠে জনসভা করার লিখিত অনুমতি পেয়েছি বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি করা হয়েছে কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে।

আজ রবিবার দুপুর ২টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলটির এ জনসভার মূল পর্ব শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

জনসভায় ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা আসছে। নেতাকর্মীদের নিয়ে আসা ব্যানারে খালেদা জিয়াসহ সারা দেশের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি করা হয়েছে। নেতাকর্মীরা সব গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের নেতা নাজমুল হুদা বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে এই ভেবে যে, বিএনপির চেয়ারপারসন জেলে থাকার পরও তাঁকে প্রধান অতিথি করা হয়েছে। কিন্তু খারাপ লাগছে আমাদের মা সমাবেশে আসতে পারছেন না। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আজ বিএনপির সমাবেশ থেকে এমন দিকনির্দেশনা আসুক, যাতে করে সারা দেশের বিএনপির কর্মীরা উজ্জীবিত হয়।

গতকাল শনিবার ২২ শর্তে জনসভার অনুমতি পাওয়ার পরই শুরু হয় সভামঞ্চ তৈরির কাজ। মাঠ পরিদর্শন করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। বিএনপির আজকের এই জনসভা সফল করতে সকাল থেকে নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেন। রবিবার সকাল ৯টার মধ্যে কয়েকশ নেতাকর্মী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থান নেয়। এরপর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে নেতাকর্মী সমর্থকদের ভিড়।

জনসভায় অংশ নিতে ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেন। এ সময় দেখা যায়, ঢাকা জেলা, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর থেকে আসা নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে প্রবেশ করেন।

যে ২২ শর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার লিখিত অনুমতি পেয়েছি

ডিএমপির শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে— সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী, রাষ্ট্র ও জননিরাপত্তা পরিপন্থী কোনো কার্যকলাপ পরিচালনা করা যাবে না, উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য এবং প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন কোনো ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান ও প্রচার করা যাবে না, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অভ্যন্তরে সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে আইডি কার্ডসহ নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী নিয়োগ করতে হবে, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জনসভাস্থলে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি প্রবেশ পথে আর্চওয়ে স্থাপন করতে হবে, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জনসভাস্থলে আসা প্রতিটি যানবাহন তল্লাশি করতে হবে, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জনসভাস্থলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে, অনুমোদিত স্থানের বাইরে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে না, অনুমোদিত স্থানের বাইরে সড়ক ও ফুটপাতে প্রজেকশন ব্যবহার করা যাবে না, অনুমোদিত স্থানের বাইরে সড়কে অথবা ফুটপাতে সমবেত হওয়া যাবে না, আজান, নামাজ এবং ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক চালু রাখা যাবে না, জনসভার মঞ্চ অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না, জনসভার ২ ঘণ্টা আগে মানুষ জনসভাস্থলে আসতে পারবে, বিকেল ৫টার মধ্যে জনসভা শেষ করতে হবে, মিছিলসহকারে জনসভায় আসা যাবে না, ব্যানার-ফেস্টুনের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠি, সোটা, রড আনা যাবে না, শর্ত না মানলে তাৎক্ষণিকভাবে অনুমতি বাতিল বলে গণ্য হবে, জনস্বার্থে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই কর্তৃপক্ষ এ অনুমতি বাতিল করতে পারবে।

Bootstrap Image Preview