Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আবারও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি ও ভাঙ্গন

সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:৪৪ PM
আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:৪৪ PM

bdmorning Image Preview


গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার নদ-নদীতে পানি নতুন করে আবারও বাড়ছে। ভাঙ্গন ও ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। অব্যাহত ভাঙ্গনে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, বাঙ্গালী, কাটাখালি নদীর উপর বসতভিটা ভাঙ্গনের আতঙ্কে রয়েছে।

উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়নে বাঙ্গাবাড়ী টিংকোরপুর, পাঁচপুর, শিমুলবাড়ীয়া, পাকুরতলা গ্রামে গত ১৫ দিন পূর্বে বন্যার পানি ঢোকায় ধানের চারা ও শাকসবজির আবাদ নষ্ট হয়েছে। এদিকে যমুনা নদীর ভাঙ্গনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় এক হাজারের বেশী পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। নদী ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলো কেউ ওয়াপদা বাঁধে, কেউ অন্যের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছে। কেউ বা পাশ্ববর্তী মুক্তিনগর ইউনিয়নে আশ্রয় নিয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে পাঁচটি গ্রামের প্রায় দশ হাজারের বেশী বাড়ীঘর।

ভাঙ্গন আতংকিত মানুষ নদীর ভাঙ্গনের এলাকা থেকে বাড়ীঘর সরিয়ে নিচ্ছে। ভাঙ্গনে গৃহহারা গোবিন্দী ও বাঁশহাটা গ্রামের জামাল, শরবেস আলী বলেন, গত দুইদিনের ভাঙ্গনে ঘরের যেটুকু জায়গা ছিল তা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এখন আমরা অন্যের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছি।

সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট জানান, গত কয়েক বছর আগে বগির ছাও, শেংগুয়া, কোয়ালীকান্দি, চকপাড়া নদী গর্ভে চলে গেছে। স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, রাস্তাসহ ফসলি জমি নদী ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে যাচ্ছে।

ভাঙ্গন প্রতিরোধে জরুরী ব্যবস্থা না নেয়া গেলে সাঘাটা ইউনিয়নটির ৮০ভাগ এলাকা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। অন্যদিকে, হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর- দক্ষিন নলছিয়া গ্রামে ভাঙ্গনের মূখে রয়েছে,আব্দুল বাকি,করিম,রফিকুল ও বক্করের পরিবার তারা কোথায় গিয়ে আশ্রয় নিবে ভেবে পাচ্ছেন না বলে প্রতিবেদককে জানান।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলানো ছাড়া,আজ অবদি ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় স্থায়ী কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। তবে সাঘাটা সদরের সামনে সিসি ব্লক দিয়ে কিছু এলাকা স্থায়ী করেছে।

Bootstrap Image Preview