আবারও শেষ ওভারের নাটকীয়তায় হার বাংলাদেশের। আবারও শিরোপার এত কাছে এসেও ছোঁয়া হলো না স্বপ্নের ট্রফিটা। শেষ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ৬ রান। কাকে বোলিং দেবেন মাশরাফি? এই প্রশ্ন তখন টাইগার ভক্তদের মনে ঢেউ তুলছে।
স্ক্রিনে দেখা গেল সৌম্য রানআপ ঠিক করছে। সবার মনে তখন নিদাহাস ট্রফির শেষ ওভারের দৃশ্যটা ভেসে ওঠে। কিন্তু না শেষ মুহূর্তে সৌম্যের হাত থেকে বল নিয়ে মাহমুদউল্লাহর হাতে বল তুলে দিলেন মাশরাফি। মাহমুদউল্লাহও অধিনায়কের প্রতিদান দেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টাই করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেনি। তবে মাহমুদউল্লাহর হাতেই বল কেন? এই প্রশ্ন অনেকেরই।
ম্যাচ চলাকালীন অনেকেই আশা করেছিল আফগানিস্তান ম্যাচের মতো ইনিংসের ৫০তম ওভারটিতে বোলিংয়ে আনা হবে মুস্তাফিজুর রহমানকে। কিন্তু ৪৯তম ওভারেও মুস্তাফিজকে আনেন মাশরাফি। কেননা ভারতের তখন দরকার ছিল ১২ বলে নয় রান, মুস্তাফিজের সৌজন্যে সেই ওভারে মাত্র তিন রান দেয় বাংলাদেশ। পাশপাশি মুস্তাফিজও তুলে নেন ২১ রান করা ভুবনেশ্বর কুমারের উইকেট।
যদিও ম্যাচ শেষে মাশরাফি নিজেই পরিষ্কার করেছেন শেষ ওভারে স্পিনার আনার বিষয়টি। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মাশরাফি বলেন, `ভারত যেভাবে রান করছিল, তাতে করে মুস্তাফিজকে ৪৯ তম ওভারে বোলিং দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ ছিল কারণ তারা প্রতি বলে রান করছিল। সুতরাং সেই পরিস্থিতিতে আমি স্পিনার আনার কথা ভাবতে পারি নি। `
ম্যাশ আরও বলেনম, ‘ওদের যখন সাড়ে ৫ রান করে লাগে, তখন আমি মিরাজকে এনেছি। রিয়াদকে এনেছি। তখন কেউ যদি দুইটা ওভারও ভালো বোলিং করে দিত, তাহলে খুব ভালো হতো। একজন স্পিনার ভালো করলেও ৪৬ নম্বর ওভার থেকে আমি রুবেল ও মোস্তাফিজকে শেষ পর্যন্ত বোলিং করাতে পারতাম। তাহলে হয়তো ভারতের কাজটা অনেক কঠিন হতো। কারণ, ওদের বোলিংয়ে অনেক ভ্যারিয়েশন আছে।’
মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘রিয়াদ ভালো করেছে। ওই অবস্থায়, মানে ৬ বলে ৬ রান লাগে, এই অবস্থায় ও ভালো ফাইট করেছে।‘