আগামী ১১তম জাতিয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের পরিকল্পনার কথা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে নিউইয়র্কের গ্রান্ড হায়াত হোটেলে তিনি সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তাদের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে খুবই ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে, রোহিঙ্গা নিয়ে, আমাদের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রা চায় আমাদের দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অব্যাহত থাকুক। নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে হোক আর আমাদের নির্বাচনের পদ্ধতির ব্যাপারে আলোচনা করেছি।
ইভিএম একটা প্রকল্প আমরা পাস করে দিয়েছি। আমি বলেছি, আমরা চাই, এভিএমটা ব্যবহার হোক। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে চলমান সম্পর্ক নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কাউন্টার টেররিজমের ক্ষেত্রে আমরা যে সহযোগিতা করে যাচ্ছি এবং আমাদের অনেকে যে এখানে ট্রেনিং পাচ্ছে- সে বিষয়গুলো।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দফতরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস। এ সময় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি পূর্ণ সংহতি জানিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখার আশা প্রকাশ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক সাংবাদিকদের এ বিষয়ে জানান।নির্বাচন বিষয়ে গুতেরেস আশা প্রকাশ করেন, ‘বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে।’
বৈঠকে একাধিকবার তার বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, তিনি বাংলাদেশকে খুব ভালোবাসেন।
এ সময় জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়নের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। বিশেষ করে রোহিঙ্গা প্রশ্নে তার অবস্থানের জন্য ভূয়সী প্রশংসা করে গুতেরেস বলেন, ‘আপনি অনেক রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের জন্য রোল মডেল হতে পারেন’।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘মিয়ানমার সরকারের যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে তাদের যথাযথ পুনর্বাসন শুরু করা উচিত।’
৭৩তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে (ইউএনজিএ) অংশগ্রহণের জন্য বর্তমানে নিউইয়র্কে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। লন্ডন হয়ে আগামী ১ অক্টোবর তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন।