শুক্রবার সকালে খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ছকি চেয়ারম্যানপাড়া ও মন্ডলপাড়ার মধ্যবর্তী এলাকায় একটি ধানখেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মামুনুর রশিদ সোহাগ (৩৭)উপজেলার গোয়ালডিহি ছকি চেয়ারম্যানপাড়া গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের বড় ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা সোহরাব আলীর ছেলে ফজলু হক জানান, সকাল ৭টার দিকে মাঠে যাওয়ার সময় তিনি ধানখেতে একটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে বিষয়টি ইউপি সদস্য মাসুদ রানা বাবুকে জানান।
নিহতের বাবা মোসলেম উদ্দিন বলেন, আমার ছেলে সোহাগ দিনাজপুর সরকারি কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স পাশ করে বেকার জীবন কাটাচ্ছিল। ছাত্র জীবনে প্রখর মেধাবী ছিল সে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি প্রাপ্ত হয়ে কাচিনীয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসিতে স্টার মার্কস পায়। পরে সৈয়দপুর ক্যান্টপাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসিতে ভালো রেজাল্ট করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। আমরা গভীর রাত পর্যন্ত তাকে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাইনি। সকালে প্রতিবেশীরা জানায়, সোহাগের মরদেহ ধানখেতে পড়ে আছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আমার ছেলের মরদেহ।
মোসলেম উদ্দিন বলেন, আমার ছেলে অনেক দিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিল। এর আগে সে ও আত্মহত্যার জন্য কয়েক বার ঘুমের ওষুধ খায় এবং গলায় ফাঁসও দেয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খানসামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন প্রধান জানান, সোহাগ মানসিক রোগী ছিল। মরদেহর কাছে অনেকগুলো ওষুধের খালি পাতা পাওয়া গেছে। সুরতহাল করে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।